বৃহস্পতিবার (১৮ ডিসেম্বর) কুড়িগ্রামের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১১ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। কয়েকদিন থেকে তাপমাত্রা নিম্নগামী থাকার কারণে দুর্ভোগে পড়েছে মানুষ।
বিশেষ করে শীত ও কুয়াশার কারণে চরাঞ্চলের মানুষ পড়েছে আরও বড় দুর্ভোগে। সকালে সূর্যের দেখা মিললেও দিনের অধিকাংশ সময় সূর্যের দেখা মিলছে না। সূর্যের উত্তাপ না থাকায় ঠান্ডার মাত্রা বৃদ্ধি পেয়েছে।
এ অবস্থায় সবচেয়ে কষ্টে আছে শ্রমজীবী, খেটে খাওয়া ও নিম্ন আয়ের মানুষজন। শীত ও ঠান্ডার কারণে কাজে বের হতে না পারায় দুর্ভোগে পড়েছেন তারা। শহর কিংবা গ্রামে শীতের দাপটে অনেকেই খড়কুটো জ্বালিয়ে শীত নিবারণের চেষ্টা করতে দেখা গেছে। গত ৩ সপ্তাহ ধরে এ অঞ্চলের
তাপমাত্রা ১০ ডিগ্রি থেকে ১৮ ডিগ্রি সেলসিয়াসে উঠা নামা করছে।
আরও পড়ুন: বাণিজ্যিকভাবে কুড়িগ্রামের প্রত্যন্ত গ্রামে তৈরি হচ্ছে মুড়ির মোয়া
কুড়িগ্রাম আবহাওয়া অফিস জানায়, সোমবার সকাল ৯টায় জেলায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১১ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
তবে আগামী দুই থেকে তিনদিন তাপমাত্রা বৃদ্ধি পাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
সদরের ঘোগাদহ ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান মো. আব্দুল মালেক সরকার বলেন, শীত তো নেমে গেছে। যারা গরীব মানুষ তারা কষ্টে আছে। এখন পর্যন্ত সরকারিভাবে শীতবস্ত্র পাইনি। পেলে এখানে বিতরণ করা হবে।
কুড়িগ্রামের রাজারহাট কৃষি আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সুবল চন্দ্র সরকার জানান, আগামী দুই থেকে
তিনদিন তাপমাত্রা বৃদ্ধি পাবে। পরে আবারও কমতে শুরু করবে। তখন ১০ ডিগ্রির নিচে নামার সম্ভাবনা রয়েছে।
আরও পড়ুন: কুড়িগ্রামে তাপমাত্রা ১১ ডিগ্রিতে নামায় দুর্ভোগে খেটে খাওয়া মানুষ