এদিকে, জেলায় সব নদ-নদীর পানি কমতে শুরু করেছে। ধরলা নদীর পানি কমে বিপদ সীমার ১৩ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। আর ব্রহ্মপুত্র, দুধকুমার ও তিস্তার পানির প্রবাহ রয়েছে বিপদ সীমার নিচে।
নদীর পানি কমতে থাকায় সদর উপজেলার সারডোব, মোঘলবাসা, পাঁচগাছি, যাত্রাপুর-উলিপুরের থেতরাই, গুণাইগাছসহ বিভিন্ন এলাকায় ভাঙনে বাড়িঘর ও আবাদি জমি বিলীন হচ্ছে। কয়েকটি এলাকায় বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধ ও বাজার ঝুঁকিতে পড়েছে।
মঙ্গলবার মধ্যরাতে সারডোব বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধের ৫০ মিটার অংশ ভেঙে ১০ গ্রামে পানি ঢুকছে। তীব্র স্রোতের কারণে জেলার ধরলা, তিস্তা ও ব্রহ্মপুত্র নদের ২০ পয়েন্টে ভাঙন শুরু হয়েছে।
সদর উপজেলার ভোগডাঙ্গা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. সাইদুর রহমান জানান, গত দুই দিনে ধরলার ভাঙনে জগমনের চর এলাকার ৫৪টি বাড়ি নদীগর্ভে বিলীন হওয়ায় এসব পরিবার খোলা আকাশের নিচে আশ্রয় নিয়েছে। ১,৩৫০টি পরিবার পানিবন্দী জীবনযাপন করছে।
এছাড়া, সদর উপজেলার নন্দদুলালের ভিটা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়টি ধরলার ভাঙনের কবলে পড়ায় টিনশেড স্কুলঘরটি সরিয়ে নিয়েছে কর্তৃপক্ষ।
কুড়িগ্রাম পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. আরিফুল ইসলাম বলেণ, ‘বন্যা পরিস্থিতির ধীরে ধীরে উন্নতি হচ্ছে। তবে পানি কমার কারণে বিভিন্ন জায়গায় ভাঙন বেড়েছে। এসব এলাকায় জিও ব্যাগ ফেলে ভাঙন ঠেকানোর চেষ্টা করা হচ্ছে এবং অনেক এলাকায় ভাঙন ঠেকানো সম্ভব হয়েছে।’