কুড়িগ্রামে কনকনে ঠান্ডা ও ঘন কুয়াশায় ব্যাহত হচ্ছে স্বাভাবিক জীবনযাত্রা। তীব্র ঠান্ডায় সবচেয়ে বেশি বিপাকে পড়েছেন শ্রমজীবী ও খেটে খাওয়া মানুষ।
এদিকে কুড়িগ্রামে সোমবার (১৫ জানুয়ারি) সকাল ৯টায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১২ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
আরও পড়ুন: ঠান্ডা-শীতে কাবু চাঁদপুর, বিপাকে খেটে খাওয়া মানুষ
কনকনে ঠান্ডায় কাজে বের হতে পারছে না মানুষ। বৃষ্টির ফোঁটার মতো পড়ছে কুয়াশা। এই ঠান্ডায় চরম ভোগান্তির শিকার হচ্ছে সকালে স্কুল-কলেজগামী শিক্ষার্থীরা।
জেলার মধ্যে দিয়ে প্রবাহিত ১৬টি নদ-নদী তীরবর্তী চার শতাধিক চর ও দ্বীপ চরের মানুষের দুর্ভোগের সীমা নেই। কনকনে ঠান্ডায় শীত নিবারণের জন্য তারা খড়কুটো জ্বালাচ্ছেন।
এছাড়া কনকনে ঠান্ডা উপেক্ষা করে মাঠে কাজ করছেন অনেক কৃষকেরা।
আরও পড়ুন: সিরাজগঞ্জে ঠান্ডা বাতাস ও ঘন কুয়াশায় জনজীবন বিপর্যস্ত
সারাদিন আকাশ কুয়াশায় ঢাকা। সূর্যের আলো ছড়াতে না পারায় শীতের তীব্রতা বেড়েছে। গত ছয় দিন ধরে দেখা মিলছে না সূর্যের। এ অবস্থায় দিন ও রাতের তাপমাত্রা কাছাকাছি চলে আসায় দিনভর ঠান্ডা অনুভূত হচ্ছে।
কুড়িগ্রাম পৌর শহরের রিকশাচালক তাজুল ইসলাম বলেন, কয়েক দিন থেকে খুব ঠান্ডা। মানুষ বাড়ি থেকে বের হচ্ছে না। শহরে লোকজনও অনেক কম, রিকশার যাত্রীও হচ্ছে না। শীতের কারণে আমরাও বিপদে পড়েছি।
আরও পড়ুন: চাঁদপুরে বাড়ছে ঠান্ডাজনিত রোগীর সংখ্যা, চলতি মাসে ২ শিশুর মৃত্যু
আদর্শ পৌর বাজারের ব্যবসায়ী কাশেম আলী বলেন, আজ সাত, আট দিন থেকে ঠান্ডার মাত্রা বাড়ায় বাজারে লোকসমাগম অনেক কমে গেছে। আমাদের বিক্রিও অনেক কম। খুব একটা প্রয়োজন ছাড়া তো মানুষ বাড়ি থেকে বের হচ্ছে না।
এদিকে শীতের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে ঠান্ডাজনিত রোগ- শ্বাসকষ্ট, ডায়রিয়া, নিউমোনিয়া ও সর্দি-কাশি।