মাগুরায় প্রায় দেড় কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগে কৃষি ব্যাংক মাগুরা প্রধান শাখার দ্বিতীয় মুখ্য কর্মকর্তা নাজমুল হককে আটক করে জেলে পাঠানো হয়েছে।
মঙ্গলবার দুপুরে তাকে মাগুরা আদালতে হাজির করলে বিজ্ঞ আদালত তাকে জেল হাজতে পাঠানোর নির্দেশ দেন। আটক নাজমুল হক ঝিনাইদহ সদরের কাঞ্চনপুর মধ্য পাড়ার নজরুল ইসলামের ছেলে।
আরও পড়ুন: মুক্তিযোদ্ধা ভাতা প্রক্রিয়ায় যুক্ত হলো সোনালী ব্যাংক
কৃষি ব্যাংক মাগুরা প্রধান শাখার ব্যবস্থাপক রেজাউল হক জানান, মাগুরা প্রধান শাখায় কর্মরত অবস্থায় বিভিন্ন সময়ে নাজমুল হক উল্লেখিত ব্যাংকে থাকা তার নিজ নামীয় একাউন্টে অনিয়মের মাধ্যমে ৩৭ লাখ ৮৩ হাজার ৭৩৪ টাকা উত্তোলন করেন। পাশাপাশি ইতোপূর্বে ২০১৮ সাল থেকে ২০২০ সাল পর্যন্ত কৃষি ব্যাংক ঝিনাইদহ শাখায় একই পদে কর্মরত থাকা কালে বিভিন্ন সময়ে তার নিজ নামীয় একাউন্টে ৮৫ লাখ ৮৭ হাজার ২২৫ টাকা উত্তোলন করেন। ব্যংকের সাম্প্রতিক এক নিরীক্ষায় বিষয়টি নজরে আসলে ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সাথে আলোচনা করে সোমবার রাতে অভিযুক্ত নাজমুল হককে সদর থানা পুলিশে সোপর্দ করা হয়।
মাগুরা ও ঝিানাইদহ এ দু’টি শাখায় নাজমুল হকের ব্যক্তিগত একাউন্টে ২০১৮ সাল থেকে বর্তমান সময় পর্যন্ত মোট উত্তোলিত অর্থের পরিমাণ ১ কোটি ২৩ লাখ ৭০ হাজার ৯৫৯ টাকা। নাজমুল হক ২০১৮ সালের পূর্বে যে সব শাখায় কর্মরত ছিলেন সেখানে অনুসন্ধান চলছে। অর্থ আত্মসাতের বিষয়টি অনুসন্ধানের জন্য কেন্দ্রীয় ব্যাংক থেকে তদন্ত টিম দ্রুত তদন্ত কাজ শুরু করবে বলে তিনি জানান।
আরও পড়ুন: দুর্নীতির অভিযোগে ৮ জনের ব্যাংক হিসেব জব্দের আদেশ
ব্যাংকের একটি সূত্র জানায়, বিভিন্ন সময়ে ব্যাংকের ঋণ গ্রহীতারা তাদের ঋণের কিস্তি বাবদ যে টাকা তার কাছে জমা দিয়েছেন সেটি ব্যাংকের সংশ্লিষ্ট একাউন্টে জমা না দিয়ে নিজের একাউন্টে জমা করেছেন নাজমুল।
মাগুরা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জয়নাল আবেদীন জানান, যেহেতু সরকারি অর্থ আত্মসাতের ঘটনা ঘটেছে, তাই দুদকের পরামর্শে অভিযুক্ত নাজমুল হককে আটক করে আদালতে পাঠানো হয়। মঙ্গলবার দুপুরে নাজমুল হককে মাগুরার সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট-১ বুলবুল আহমেদের আদালতে হাজির করা হলে, তাকে জেল হাজতে পাঠানোর নির্দেশ দেন আদালত। একই সাথে তদন্ত প্রতিবেদন সাপেক্ষে ৩১ আগস্ট জামিন শুনানির জন্য দিন ধার্য করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: খুলনায় সোনালী ব্যাংকের টাকা আত্মসাতের অভিযোগে দুদকের মামলা