তাদের কাছ থেকে এসময় উগ্রবাদী নথিপত্র, নগদ ১৮ হাজার ৯৯৫ টাকা ও ১৩টি মোবাইল ফোন উদ্ধার করা হয়।

আরও পড়ুন: বগুড়ায় অস্ত্র, গুলি ও বিস্ফোরকসহ ২ ‘জঙ্গি’ আটক

আটকরা হলেন আল্লার দলের লবণচরা থানার থানা নায়েক মো. হাফিজুর রহমান (৩২), সদস্য মো. জিল্লুর রহমান (৩১), মো. আলমগীর হোসেন সময় উগ্রবাদী নথিপত্র, নগদ ১৮ হাজার ৯৯৫ টাকা ও ১৩টি মোবাইল ফোন উদ্ধার করা হয়। মুন্সী (৩০), মো. কাইয়ুম হোসেন (৩৩), মো. রাজিবুল আলম (৩৭), মো. সুমন বেপারী (৩৩), মো. মুস্তাকিন হোসেন (২৬) ও মো. জাহাঙ্গীর (২৯)।

আরও পড়ুন: সাতক্ষীরার ‘মেধাবী’ শান্ত শেষ পর্যন্ত জঙ্গি!

শনিবার র‌্যাব-৬-এর কমান্ডিং অফিসার লেফটেন্যান্ট কর্নেল রওশনুল ফিরোজ জানান, শুক্রবার গোপন সংবাদের ভিত্তিতে জানা যায় যে খুলনার লবণচরা থানাধীন সালাউদ্দিন ইউসুফ সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের পূর্ব পাশে কাইয়ুম আয়রন ওয়ার্কসপের মধ্যে আল্লার দলের বেশ কয়েকজন সদস্য গোপন বৈঠকে করছেন। এই সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে আটজনকে আটক করে র‌্যাব-৬।

আরও পড়ুন: সিরাজগঞ্জে ‘জঙ্গি আস্তানায়’ র‌্যাবের অভিযান সমাপ্ত

প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে হাফিজুর রহমান স্বীকার করে যে তিনি গত ২০১৭ সালের জুন মাসে সংগঠনের এক শীর্ষ নেতার কাছে বায়াত গ্রহণ করে আল্লার দলের সদস্য পদ লাভ করেন। সংগঠনের সদস্য হওয়ার পর থেকে তিনি তার তুষ কাঠের মিলের ব্যবসার পাশাপাশি স্থানীয় লোকজনকে দাওয়াত দিতে থাকেন। পরবর্তীতে তিনি ২০১৮ সালে থানা নায়েক পদে দায়িত্বপ্রাপ্ত হন। সংগঠনের পূর্বের দায়িত্বশীল ব্যক্তিরা আটক হওয়ায় বর্তমানে অন্য সদস্যদের সাথে গোপনে সাক্ষাতের মাধ্যমে তিনি তার ব্যবসার কাজের পাশাপাশি সাংগঠনিক কার্যক্রম পরিচালনা করে আসছিলেন।

এছাড়াও ওই নিষিদ্ধ সংগঠনের আটক অন্য সদস্যরাও দীর্ঘদিন যাবৎ সংগঠনের সাথে জড়িত বলে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে স্বীকার করেন।

আরও পড়ুন: সিরাজগঞ্জে ‘জঙ্গি আস্তানায়’ অভিযান, আটক ৪

তারা দেশের বিভিন্ন জায়গা হতে সদস্য নির্বাচন, বিভিন্ন উৎস হতে অর্থ সংগ্রহ এবং কর্মীদের বায়াত গ্রহণ করানোর মাধ্যমে দলীয় শক্তি বৃদ্ধির কাজে নিয়োজিত রয়েছেন। তারা সংগঠনকে শক্তিশালী করার লক্ষ্যে দলীয় সভা, উগ্রবাদী বই বিতরণ, অর্থ প্রদান ও আদায় এবং সংগঠনে সম্পৃক্ত হওয়ার জন্য দাওয়াত দেয়া ইত্যাদি কর্মকাণ্ডে স্বতঃস্ফূর্তভাবে অংশগ্রহণ করে আসছেন। বর্তমানে তারা দেশের বিদ্যমান আর্থসামাজিক ও রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে তাদের ভবিষ্যত কর্মপন্থা নির্ধারণের লক্ষ্যে গোপন বৈঠকে মিলিত হয়েছিলেন বলে স্বীকার করেন।