বেতন বাড়ানোর দাবিতে পোশাকশ্রমিকদের বিক্ষোভ চলাকালে রাসেল হাওলাদার নামে এক শ্রমিক নিহত হয়েছেন। সোমবার (৩০ অক্টোবর) ভোগড়াসহ আশপাশের এলাকার ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কে এ ঘটনা ঘটে।
নিহত রাসেল হাওলাদার নগরীর ডিজাইন এক্সপ্রেস লিমিটেড কোম্পানির বৈদ্যুতিক মিস্ত্রি হিসেবে কর্মরত ছিলেন। তিনি গাজীপুর মহানগরের গাছা থানার কলম্বিয়া কারখানার পাশের নুর আলমের বাসার ভাড়াটিয়া ছিলেন।
আরও পড়ুন: ঢাকায় নিহত বিএনপি নেতা আব্দুর রশিদের লাশ নাটোরে পৌঁছেছে
এদিকে পুলিশের গুলিতে তার মৃত্যু হয়েছে বলে শ্রমিকরা দাবি করলেও পুলিশের দাবি, তাদের গুলিতে কেউ মারা যায়নি।
বিক্ষুব্ধ শ্রমিকরা জানান, বেতন বাড়ানোর দাবিতে সোমবার বিভিন্ন কারখানার শ্রমিকরা বিক্ষোভ মিছিল করছিলেন। শ্রমিক আন্দোলনের পরিপ্রেক্ষিতে ডিজাইন এক্সপ্রেস লিমিটেড কারখানা ছুটি দেওয়া হয়। এ সময় পুলিশ আন্দোলনরত অন্য কারখানার শ্রমিকদের উপর গুলি ও কাঁদানে গ্যাস নিক্ষেপ করে। সে সময় দোকানের সামনে থাকা রাসেল গুলিবিদ্ধ হন। মারাত্মক আহত অবস্থায় তাকে প্রথমে তায়ারুন্নেছা মেমোরিয়াল মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়। পরে টঙ্গীর শহীদ আহসান উল্লাহ মাস্টার জেনারেল হাসপাতালে নেওয়া হয়।
হাসপাতালের মেডিকেল অফিসার ডা. মো. তারেক হাসান জানান, হাসপাতালে একজন গার্মেন্ট কর্মীকে মৃত অবস্থায় আনা হয়। মৃতের গলা ও শরীরে ছোট ছোট গোলাকার লাল রঙের দাগ ছিল। আবার হাতে পুরোপুরি ব্যান্ডেজ করা ছিল।
তিনি আরও জানান, আমরা পুলিশের মাধ্যমে তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠাই। সেখানে ময়নাতদন্ত করা হবে। ময়নাতদন্তের পরে বিষয়টি নিশ্চিত হওয়া যাবে।
তিনি জানান, তিনি গুলিবিদ্ধ হয়েছেন বলে মনে হয়নি, তবে ময়নাতদন্তের পর নিশ্চিত হওয়া যাবে কীভাবে তার মৃত্যু হয়েছে।
বাসন থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আবু সিদ্দিক জানান, পোশাক কারখানার শ্রমিকরা বেতন বাড়ানোর দাবিতে বিক্ষোভ ও মহাসড়ক অবরোধ করে।
ওসি আরও জানান, একপর্যায়ে তারা একটি সিকিউরিটি কোম্পানির গাড়িতে অগ্নিসংযোগ করে। পরে পুলিশ কাঁদানে গ্যাস ও সাউন্ড গ্রেনেড নিক্ষেপ করে তাদের ছত্রভঙ্গ করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। তবে গুলিবিদ্ধ হয়ে কেউ মারা গেছেন কি না এমনটা তার জানা নেই।
আরও পড়ুন: দুর্বৃত্তদের ছুরিকাঘাতে রামেক হাসপাতালের চিকিৎসক গোলাম কাজেম নিহত
ফিলিস্তিনের ইসরায়েলি হামলার তীব্র নিন্দা জানিয়ে যুদ্ধ বন্ধের আহ্বান শেখ হাসিনার