রাজধানীর নিকুঞ্জ এলাকা থেকে বৃহস্পতিবার গাজীপুর ডিবি পুলিশ তাকে গ্রেপ্তার করে।
গ্রেপ্তার জাহিদ মৃধা বরিশালের আগৈলঝাড়া থানার আমবৌলা গ্রামের বাসিন্দা।
আরও পড়ুন: বিষাক্ত মদ্যপানে বগুড়ায় মৃতের সংখ্যা বেড়ে ১০
নারায়ণগঞ্জে অতিরিক্ত মদ্যপানে ছাত্রলীগ নেতাসহ মৃত ৩
শুক্রবার গাজীপুরের ভারপ্রাপ্ত পুলিশ সুপার একেএম জহিরুল ইসলাম এক সংবাদ সম্মেলনে বলেন, এশিয়াটিক মার্কেটিং কোম্পানি লিমিটেডের আওতাধীন ফোর্থ পিআর নামের একটি প্রতিষ্ঠানের ৪৩ কর্মকর্তার একটি দল গত ২৮ জানুয়ারি গাজীপুরের সারা রিসোর্টে বেড়াতে আসেন। তারা ৩০ জানুয়ারি ঢাকায় ফেরার পথে অন্তত ১৬ জন শারীরিকভাবে অসুস্থ বোধ করলে তাদের ঢাকার বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। ওই রাতেই কাওসার আহমেদ নামে একজন মারা যান। পরদিন শিহাব নামে আরও একজন মারা যান। এরপর ১ ফেব্রুয়ারি সকালে একেএম শরীফ জামাল ভূঁইয়া মারা যান।
তিনি বলেন, ‘মদ্যপানের পর মারা যাওয়া ও অসুস্থতার বিষয়ে সারা রিসোর্ট কর্তৃপক্ষ এবং এশিয়াটিক মার্কেটিং কোম্পানি কর্তৃপক্ষের নীরবতা বা গোপনীয় মনোভাবের কারণে গাজীপুর জেলা পুলিশের তদন্ত নামতে কিছুটা বিলম্ব হয়। কিন্তু পুলিশের তৎপরতায় ও দুজনের মৃতদেহ ময়নাতদন্তের পর প্রাথমিকভাবে স্পষ্ট হয় যে মৃত ব্যক্তিরা রিসোর্টে অবস্থানকালে বিষাক্ত মদ পান করেছিলেন। অন্য ভুক্তভোগীরা হাসপাতলে সুস্থ হওয়া পর পুলিশের কাছে মদ পানে অসুস্থ হওয়ার বিষয়টি স্বীকার করেন।’
পুলিশ সুপার বলেন, এরপর পুলিশের পক্ষ থেকে শ্রীপুর থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয় এবং গুরুত্বের সাথে তদন্তের জন্য মামলা ডিবিতে হস্তান্তর করা হয়।
আরও পড়ুন: রাজশাহীতে থার্টি ফার্স্ট নাইটে মদ্যপানে মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৪
খুলনায় ‘অতিরিক্ত মদ পানে’ ছোট ভাইয়ের মৃত্যু, বড় ভাই হাসপাতালে
গাজীপুর জেলা ডিবি পুলিশ তদন্তকালে ওই ঘটনায় বিষাক্ত মদ সরবরাহ করার দায়ে জাহিদকে গ্রেপ্তার করে। জাহিদ পুলিশের কাছে প্রথম পর্যায়ে ছয় বোতল এবং পরবর্তীতে আরও মদ সরবরাহের বিষয়টি স্বীকার করেন।
জহিরুল ইসলাম বলেন, গাজীপুরের সারা রিসোর্টে মদ সরবরাহ এবং মদ্যপান করার কোনো সরকারি অনুমতি নেই। আবার রিসোর্টের ভেতরে লাগেজ ঢুকানোর সময় স্ক্যানিং করা হয়। বিমানবন্দরের স্ক্যানিংয়ের মতো এখানেও স্ক্যানিংয়ে মদের বোতল ধরা পড়ার কথা। কিন্তু স্ক্যানিং ফাঁকি দিয়ে কীভাবে মদ ভেতরে গেল সেটা নিয়েও পুলিশের তদন্ত চলছে। বাইরে থেকে রিসোর্টের ভেতরে মদ ঢুকার বিষয়ে রিসোর্ট কর্তৃপক্ষ বা কোনো কর্মচারীর গাফিলতি কিংবা যোগসাজশ রয়েছে কি না সেটাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে। কেউ জড়িত থাকলে তাদের আইনের আওতায় আনা হবে।