সাতক্ষীরায় ঘূর্ণিঝড় রিমালের প্রভাবে উপকূলবর্তী এলাকায় ৮ শতাধিক কাঁচা ঘরবাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বলে জানিয়েছে স্থানীয় প্রশাসন। আশ্রয়কেন্দ্রে যাওয়ার সময় বয়োবৃদ্ধ একজনের মৃত্যু হয়েছে।
সোমবার(২৭ মে) সকাল থেকে জেলার সর্বত্র ভারি বৃষ্টি হচ্ছে। প্রবল বেগে থেমে থেমে বইছে দমকা হাওয়া। টানা বৃষ্টিপাতের কারণে জনজীবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে।
ঘূর্ণিঝড়েরর কারণে মারা যাওয়া শওকত হোসেন মোড়ল জেলার শ্যামনগর গাবুরা এলাকার বাসিন্দা।
দুর্যোগ ও ত্রাণ মন্ত্রণালয় নিহত শওকত মোড়লের মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছে।
জানা যায়, সাতক্ষীরার আশাশুনি ও শ্যামনগর উপকূলবর্তী এলাকায় একাধিক স্থানে বেড়িবাঁধ উপচে নদীর জোয়ারের পানি বিভিন্ন এলাকায় প্রবেশ করেছে। বিশেষ করে শ্যামগরের গাবুরা, পদ্মপুকুর, বুড়িগোয়ালিনি, দাঁদিনাখালী , মুন্সিগঞ্জ, আশাশুনির প্রতাপনগর, দুর্গাবাটি, ঝাপাসহ আশপাশের এলাকায় বেশকিছু চিংড়ি ঘের ভেসে গেছে বলে খবর পাওয়া গেছে। নদীর জোয়ারের পানি স্বাভাবিকের চেয়ে ৩ থেকে ৪ ফুট বৃদ্ধি পেয়েছে।
গাবুরা ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মাসুদুল আলম জানান, রবিবার রাত ১২টার দিকে সাতক্ষীরা উপকূল অতিক্রম করেছে রিমাল। কিন্তু এখনো সুন্দরবন উপকূলবর্তী নদীতে প্রচণ্ড ঢেউ। দমকা হাওয়া যেভাবে বেঁড়িবাধে আঘাত করছে, তাতে বেড়িবাঁধ ধসে যাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। বাঁধ ধসে পড়লে বিভিন্ন এলাকা তলিয়ে যাবে। স্থানীয় লোকজন স্বেচ্ছাশ্রমের ভিত্তিতে বাঁধ রক্ষার চেষ্টা করছে।
তিনি আরও জানান, ঝড়ের কারণে বিভিন্ন এলাকায় বিদ্যুতের খুঁটি হেলে পড়েছে। ফলে অনেক এলাকায় বিদ্যুৎ নেই। ছোট-বড় বেশ কিছু গাছ উপড়ে পড়েছে।
সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ হুমায়ুন কবীর জানান, রিমালের আঘাতে সাতক্ষীরায় বড় ধরনের কোনো ক্ষতি হয়নি। তবে ৮ শতাধিক কাঁচা ঘরবাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। আমের বড় ক্ষতি হয়েছে।
তিনি জানান, বেড়িবাঁধের কোথাও ধসে পড়েনি। তবে নদীর জোয়ারের পানি উপচে বেশ কিছু এলাকায় পানি প্রবেশ করেছে। বাঁধের বেশ কিছু এলাকা খুবই ঝুঁকিপূর্ণ। সেগুলো সংস্কারের কাজ চলছে।