ঘূর্ণিঝড় মিধিলির আঘাতে বাতাসের গতি বৃদ্ধি ও ভারী বর্ষণে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হওয়ায় চাঁদপুর জেলায় ১৯০ হেক্টর আধাপকা ও পাকা আমন ধান এবং অন্যান্য ৪২০ হেক্টর জমির বিভিন্ন ফসলের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।
যার ফলে খুবই দুশ্চিন্তার মধ্যে পড়েছেন কৃষকরা। এ ছাড়া কৃষকরা ক্ষতিগ্রস্ত ধান তুলে রোদে শুকানোর কাজে ব্যস্ত সময় পার করছেন। কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর চাঁদপুর জেলা কার্যালয় থেকে শনিবার (১৮ নভেম্বর) দুপুরে এই তথ্য জানানো হয়।
আরও পড়ুন: ঘূর্ণিঝড় মিধিলি: বৃষ্টিতে নষ্ট হয়েছে কোটি টাকার মাছ
এদিকে শনিবার (১৮ নভেম্বর) বিভিন্ন স্থানে সরেজমিনে উপজেলা সদরের বাগাদী ইউনিয়নের সোবহানপুর, বাগাদী গ্রাম, নানুপুর, বালিয়া ইউনিয়নের সাপদি, ফরিদগঞ্জ উপজেলার ১ নম্বর বালিথুবা পশ্চিম ইউনিয়নের সকদি রামপুর ও মদনের গাঁওসহ আশাপাশের এলাকায় গিয়ে আমন ধানের অধিকাংশ জমি পানিতে তলিয়ে থাকতে দেখা গেছে।
এ ছাড়া সোবহানপুর ও বাগাদী গ্রামের জমিগুলোতে কৃষকরা পাকা ধান দুই দিন আগে কেটে জমিতে শুকানোর জন্য রেখেছেন। সেই সব জমিতে এখন হাটু সমান পানি। অনেক জমির পাকা ও আধাপকা ধান বাতাসে নুয়ে পড়েছে। এসব এলাকার খাল ও নালা ভরাট হয়ে যাওয়ার কারণে পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা নেই।
এদিকে কৃষক মো. হাবিব সোবহানপুর মাঠে দুই দিন আগে কেটে রাখা ধান পানি থেকে তুলে এনে জানান, এ বছর তিনি পৌনে ৩ একর জমিতে আমন ধানের আবাদ করেছেন। অধিকাংশ জমি এখন পানির নিচে। প্রায় এক লাখ টাকা খরচ হয়েছে। এখন কী করবেন তিনি বুঝতে পারছেন না।
বাগাদী মাঠের কৃষক হাবিব বেপারী ও শেখ মো ওবায়েদ জানান, তাদের পুরো মাঠের অধিকাংশ জমির ধান হাটু সমান পানির নিচে। অনেকেই ধান কেটে শুকানোর জন্য দুই থেকে তিন দিন আগে রেখেছেন। চিন্তাও করতে পারেননি ঘূর্ণিঝড়ে এমন ক্ষতির সম্মুখীন হবেন।
চাঁদপুর জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক ড. সাফায়েত আহম্মদ সিদ্দিকী ইউএনবিকে জানান, প্রাথমিক হিসাবে দেখা যায়, ঘূর্ণিঝড় মিধিলির আঘাতে চাঁদপুর জেলায় আধাপাকা ও পাকা রোপা আমান ১৯০ হেক্টর, সরিষা ১৪০ হেক্টর, আগাম শীতকালীন শাক-সবজি ২৭০ হেক্টর ও বীজতলা (ধান) ১০ হেক্টর জমির ফসলের ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।
তিনি আরও জানান, আমাদের কর্মকর্তারা মাঠে কাজ করছেন। জরিপ কার্যক্রম শেষ হলে আর্থিক ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ জানা যাবে।
আরও পড়ুন: ঘূর্ণিঝড় মিধিলি: বঙ্গোপসাগরে ২টি ট্রলারসহ নিখোঁজ ২৫ জেলে, উদ্ধার ১৪