বিএনপি-জামায়াতের ডাকা হরতালে বন্দরনগরী চট্টগ্রামে যানবাহন চলাচল স্বাভাবিক রয়েছে। তবে দূরপাল্লার যানবাহন বন্ধ রয়েছে।
এ সময় খোলা আছে অফিস, আদালত, ব্যাংক, বিমা, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। ফলে নগরীতে গণপরিবহনে কর্মজীবী মানুষের উপস্থিতি চোখে পড়ার মতো।
এদিকে হরতাল ডেকেও মাঠে নেই বিএনপির নেতা-কর্মীরা। সড়কে প্রচুর যান চলাচল করলেও কোনো পিকেটিং নেই। নগরীর কাজীর দেউড়ি নাসিমন ভবনের সামনে বিপুল পরিমাণ পুলিশ অবস্থান করলেও দেখা যায়নি কোনো নেতা-কর্মীকে।
নগর বিএনপির নগর কমিটির সাবেক জৈষ্ঠ নেতা ও পেশাজীবী পরিষদের আহ্বায়ক জাহিদুল করিম কচি বলেন, বিএনপির সমস্ত নেতা-কর্মীরা কেন্দ্রীয় কর্মসূচিতে ঢাকায় থাকার কারণে হরতালের কর্মসূচিতে কেউ নেই। তবে হরতাল শান্তিপূর্ণভাবে পালিত হচ্ছে।
আরও পড়ুন: বিএনপি-জামায়াতের ডাকা হরতালে ঢাকার সড়ক ফাঁকা, যানবাহনে অগ্নিসংযোগ ও ভাঙচুর
এদিকে হরতালের সমর্থনে সকালে নগরীতে বিশাল মিছিল করেছে জামায়াত শিবিরের নেতা-কর্মীরা।
রবিবার (২৮ অক্টোবর) সকালে থেকে নগরীর বাণিজ্যিক এলাকা আগ্রাবাদ, লালখান বাজার, খাতুনগঞ্জ, বহদ্দারহাট, মুরাদপুর, জিইসি, কাজীর দেউড়ি, নিউমার্কেট, আগ্রাবাদ, নতুন ব্রিজসহ বেশ কয়েকটি এলাকায় এমন চিত্র দেখা গেছে। তবে সকাল থেকে রাস্তা ফাঁকা রয়েছে।
অন্যান্য দিনের চেয়ে সাধারণ মানুষের উপস্থিতি কম। নিত্যদিনের মতোই সড়কে প্রাইভেটকার, সিএনজি অটোরিকশা, অ্যাম্বুল্যান্স, পিকআপ ও যাত্রীবাহী বাসসহ অন্যান্য যানবাহন চলাচল করছে।
নগরীর লালখান বাজার এলাকায় মিনিবাস চালক লিয়াকত বলেন, হরতাল হলেও আমাদের তো বের হতে হবে। গাড়ি চালিয়েই পরিবার চলে। তাই গাড়ি নিয়ে রাস্তায় নেমেছি।
চট্টগ্রাম সড়ক পরিবহন মালিক গ্রুপের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ শাহাজাহান বলেন, নিউমার্কেট থেকে হাটহাজারীর গাড়িগুলো চলছে। অভ্যন্তরীণ রুটের গাড়িও চলছে, তবে কম। এ ছাড়া দূরপাল্লার বাস এখনও চলছে না।
অনেকদিন পর প্রথম হরতালের ডাক দেওয়ায় মানুষের মধ্যে ভীতি কাজ করছে বলেও জানান তিনি।
নগরীর বিভিন্ন পয়েন্টে পুলিশ সদস্যদের উপস্থিতি লক্ষ্য করার মতো। যেকোনো অপ্রীতিকর পরিস্থিতি এড়াতে সড়কে দায়িত্ব পালন করা হচ্ছে বলে জানানো হয়েছে পুলিশের পক্ষ থেকে।
আরও পড়ুন: বঙ্গবন্ধু টানেল দিয়ে দৈনিক ১৭২৬০ যানবাহন চলাচল করতে পারবে