চট্টগ্রাম বন্দরের সক্ষমতা বাড়াতে নতুন দুটি টাগবোট কেনা হবে। এতে বিদেশি বড় জাহাজের বার্থিং, আনবার্থিং এবং কার্গো হ্যান্ডলিং এর কাজে সহায়তা হবে। আগামী জুন মাসের দিকে বন্দরের নৌ-বহরে টাগবোট দুটি যুক্ত করার আশা করছে কর্তৃপক্ষ।
ইতোমধ্যে ১৪৫ কোটি টাকা ব্যয়ে নতুন দুটি টাগবোট কেনার বিষয়ে চুক্তির কাজও শেষ করেছে বন্দর।
বুধবার সন্ধ্যায় চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের সচিব মো. ওমর ফারুক গণমাধ্যমকে বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
সচিব মো. ওমর ফারুক বলেন, ৫০০০ বিএইচপি/৭০ টন বোলার্ড পুলের উচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন দুটি নতুন টাগবোট কেনা হচ্ছে।
এ জন্য ইতোমধ্যে চিওয় লি শিপইয়ার্ডস লিমিটেডের সঙ্গে চুক্তির কাজ সম্পন্ন করেছে চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ। আগামী জুনে বন্দরের নৌ বহরে টাগবোট দুটি যুক্ত করা হবে।
আরও পড়ুন: শাহজালাল বিমানবন্দর সম্প্রসারণের কাজে গতি আনার নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর
চট্টগ্রাম বন্দর সূত্রে জানা যায়, দুটি উচ্চক্ষমতাসম্পন্ন টাগবোট কিনতে বন্দরের খরচ পড়বে ১৪৫ কোটি ২২ লাখ ৫৬ হাজার টাকা। আগামী জুন মাসে টাগবোট দুটি যুক্ত করা সম্ভব হবে। এতে করে চট্টগ্রাম বন্দরে আসা জাহাজের নিরাপত্তা বৃদ্ধি, দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়ায় জাহাজগুলোকে সহায়তা প্রদান করা, কর্ণফুলী চ্যানেলের নৌ-সংরক্ষণে সহায়তা প্রদান করাসহ বিভিন্ন কার্যক্রম পরিচালনা করা সম্ভব হবে। সেসঙ্গে বন্দরে কার্গো হ্যান্ডলিং ক্ষমতা ও রাজস্ব আদায়ের পরিমাণও বাড়বে।
সূত্র জানায়, চট্টগ্রাম বন্দরের সক্ষমতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে তুলনামূলক বড় জাহাজ ভেড়ানোর সুবিধা সৃষ্টি করা, চট্টগ্রাম বন্দর/মহেশখালী/কুতুবদিয়া এলাকায় গৃহীত প্রকল্প ও জেটিগুলোতে অধিক সংখ্যক বড় জাহাজ বার্থিং,আনবার্থিং এবং কার্গো হ্যান্ডলিং ক্ষমতা বৃদ্ধি করাই প্রকল্পটির মূল উদ্দেশ্য।
উল্লেখ্য,সাগর থেকে বন্দর জেটিতে সমুদ্রগামী জাহাজ আনা-নেয়ার কাজে টাগবোটের সহায়তা নেয়া হয়। এছাড়া এক জেটি থেকে আরেক জেটিতে জাহাজ স্থানান্তরের সময়ও সাহায্যকারী জাহাজ হিসেবে টাগবোট ব্যবহৃত হয়। জাহাজ আনা-নেয়া ছাড়াও আগুন নিয়ন্ত্রণ, নদী ও সমুদ্রদূষণ রোধে এটি ব্যবহারের সুযোগ আছে।