চতুর্থ শ্রেণির ছাত্রীকে যৌন নিপীড়নের অভিযোগে সাতক্ষীরার তালা উপজেলার ফতেপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক সুভাষ দাশকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
শুক্রবার দিবাগত রাতে ফতেপুর গ্রামের নিজ বাড়ি থেকে তালা থানা পুলিশ তাকে গ্রেপ্তার করে।
এর আগে ভুক্তভোগী শিশুর পিতা থানায় অভিযোগ দায়ের করলে, পুলিশ তদন্ত শেষে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে ওই সহকারী শিক্ষকের বিরুদ্ধে মামলা করে।
আরও পড়ুন: গাইবান্ধায় দেশীয় আগ্নেয়াস্ত্র জব্দ, ৩ জন গ্রেপ্তার
জানা গেছে, ফতেপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক সুভাষ কুমার দাশ গত ৭ মার্চ দুপুর ১২টার দিকে চতুর্থ শ্রেণিতে অধ্যয়নরত ভুক্তভোগী ওই ছাত্রীকে শ্রেণিকক্ষে ডেকে নিয়ে তার হাত-পা টিপেয়ে নেন।
একপর্যায়ে কক্ষে আর কেউ না থাকার সুযোগে তিনি ওই ছাত্রীর শরীরের স্পর্শকাতর স্থানে হাত দিয়ে যৌন নিপিড়ন করেন। ঘটনার পর শিশুটি ভীতসন্ত্রস্ত্রভাবে বাড়িতে এসে অস্বাভাবিক আচরণ করতে থাকে।
এঘটনায় সন্দেহের একপর্যায়ে শিশুটির মায়ের জিজ্ঞাসাবাদে ঘটনাটি ফাঁস হয়। বিষয়টি সংশ্লিষ্ট বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের কাছে অভিযোগ দেন শিশুটির পিতা। কিন্তু প্রধান শিক্ষক কোনো পদক্ষেপ না নেওয়ায় পরবর্তীতে শিশুটির পিতা তালা উপজেলা নির্বাহী অফিসার, উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার ও তালা থানাসহ সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন দপ্তরে অভিযোগ দায়ের করেন।
তালা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) (তদন্ত) এম. এম. সেলিম জানান, শিশুটিকে যৌন নিপিড়নের অভিযোগ পাবার পর ঘটনার তদন্ত করে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন ২০০০ এর সংশোধিত ২০০৩ এর ১০ ধারায় মামলা (১০/২০২৪) রেকর্ড করা হয়েছে।
এছাড়া, ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মনিরের নেতৃত্বে শুক্রবার দিবাগত রাতে ফতেপুর গ্রামের বাড়ি থেকে শিক্ষক সুভাষ দাশকে গ্রেপ্তার করা হয়। আটক শিক্ষককে শনিবার সকালে সাতক্ষীরা আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
ফতেপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক ইষ্টম কুমার দাশ জানান, বিষয়টি তদন্তের জন্য একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে। তদন্ত কমিটি রিপোর্ট দেওয়ার আগেই শিক্ষক সুভাষ কুমার দাশকে পুলিশ গ্রেপ্তার করেছে।
আরও পড়ুন: সরকারি নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে জাটকা ধরায় ১০ জেলে গ্রেপ্তার
মোবাইল চুরির অপবাদে অটোরিকশাচালককে পিটিয়ে হত্যা, গ্রেপ্তার ৩