আরও পড়ুন: চাঁদপুরে মা ইলিশ রক্ষায় নৌ-পুলিশের যৌথ অভিযান
যাত্রী নয়ন ও সেলিম বরাতে বেলতলি (মতলব উত্তর) নৌপুলিশের ইনচার্জ আবু তাহের খান ও মতলব উত্তর থানার ওসি নাসির উদ্দীন জানান, বুধবার নারায়ণগঞ্জ থেকে বিকাল সোয়া ৫টার দিকে এমএল হৃদয় লঞ্চটি মতলবের উদ্দেশ্যে ছেড়ে আসে। মতলবের ষাটনল কাছাকাছি লঞ্চটি আসলে আনুমানিক ৭টার দিকে একটি স্পিডবোটে করে ডাকাতদল লঞ্চে উঠে। ফাঁকা গুলি ছুড়ে অস্ত্রের মুখে চালককে জিম্মি করে যাত্রীদের মোবাইল, নগদ টাকা, মহিলাদের স্বর্ণালংকার, যাত্রীদের সাথে থাকা মালামালসহ সর্বস্ব লুটে নেয়। পরে ডাকাতরা লঞ্চ থেকে নেমে স্পিডবোটে করে দ্রুত চলে যায়।
আরও পড়ুন: চাঁদপুরে মা ইলিশ রক্ষায় নৌ-পুলিশের যৌথ অভিযান
তারা জানান, ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে পাশের উপজেলা গজারিয়া সীমানায়, ওটা মুন্সীগঞ্জ জেলায় পড়েছে। তবে তারা বিষয়টি ক্ষতিয়ে দেখছেন বলে জানিয়েছেন।
এর আগে, গত ১৯ নভেম্বর একই কায়দায় চাঁদপুর মতলবের উদ্দেশে নারায়ণগঞ্জ থেকে ছেড়ে আসা এমভি মকবুল-২ লঞ্চে ডাকাতির ঘটনা ঘটে।
আরও পড়ুন: সুন্দরবনে পশুর নদীতে ট্যুরিস্ট লঞ্চডুবি
সেসময় গজারিয়া নৌ থানার এসআই মুজিবুর রহমান জানান, লঞ্চটি গজারিয়া ঘাট ছাড়ার বেশ কিছুক্ষণ পরে দুটি স্পিডবোটে করে ১০-১২ জন ডাকাত লঞ্চে উঠে ফাঁকা গুলি ছুড়ে আতঙ্ক সৃষ্টি এবং যাত্রীদের মোবাইল, নগদ টাকা, নারীদের গয়না ও অন্যান্য মূল্যবান মালামাল লুটে নেয়। এভাবে ৩০ মিনিটের বেশি সময় ডাকাতি শেষে অনেকগুলো ফাঁকা গুলি ছুড়ে ষাটনল ঘাটে আসার খানিক আগে ডাকাতদল লঞ্চ থেকে নেমে স্পিডবোটে করে চলে যায়।
আরও পড়ুন: মেঘনায় লঞ্চ ডাকাতি, যাত্রীদের সর্বস্ব লুট
এদিকে, নৌ-পুলিশ এসব ডাকাতির ঘটনা এখনও কোনো কুল কিনারা করতে পারেনি। এরই মধ্যে একই স্থানে আরেকটি নৌ ডাকাতির কারণে মতলববাসী আতঙ্কিত হয়ে পড়েছে।