ওই এলাকার বাঁধসহ পাশের হরিসভা সড়কের প্রায় ২৫ মিটার এলাকায় বুধবার রাত ১০টার দিকে হঠাৎ ভাঙন শুরু হয়ে বৃহস্পতিবার সকালেও তা অব্যাহত রয়েছে।
ভাঙনে সড়কের বেশ কিছু অংশ ও বৈদ্যুতিক খুঁটি নদী গর্ভে বিলীন হয়ে যাওয়ায় বর্তমানে এলাকায় বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন রয়েছে।
এদিকে, নতুন করে ২৫ মিটারের সাথে বাঁধের আরও ৬০ থেকে ৭০ মিটার ফাটল দেখা দিয়েছে। যার ফলে স্থানীয় মেঘনা পাড়ের বাসিন্দারা খুবই আতঙ্কের মধ্যে রয়েছেন। তবে ভাঙনের খবর পেয়ে পানি উন্নয়ন বোর্ড তাৎক্ষণিক বালুভর্তি জিও টেক্সটাইল ব্যাগ ফেলতে শুরু করেছেন।
স্থানীয়রা জানান, স্থায়ী ও শক্তিশালী বাঁধ না হলে জেলার ব্যস্ততম বাণিজ্যিক এলাকা পুরানবাজারের ব্যবসা প্রতিষ্ঠানসহ হাজার হাজার মানুষের ঘরবাড়ি মেঘনায় তলিয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
স্থানীয় বাসিন্দা বিমল চৌধুরী, লিটন দে, বিশ্বনাথ বণিক জানান, গত বছর থেকে ভাঙন এলাকাটি খুবই ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে। ওই সময় মন্ত্রীসহ পানি উন্নয়ন বোর্ডের অনেক কর্মকর্তা ভাঙন স্থান পরিদর্শন করেছেন। ১১শ’ কোটি টাকার প্রকল্পের মাধ্যমে এখানে স্থায়ী বাঁধ হবে বলে আশ্বাস দিলেও এখনও তা শুরুই হয়নি। যখন ভাঙন দেখা দেয় তখন কিছু বালু ভর্তি ব্যাগ ফেলানো হয়, ভাঙন কিছুটা কমার পর কাজ বন্ধ হয়ে যায়।
তারা জানান, গত ২০ দিন আগেও একবার ভাঙন দেখা দিয়েছিল। তখন পানি উন্নয়ন বোর্ড যে স্থানটি ঝুঁকিপূর্ণ র্নিধারণ করে সেখানেই এখন ভাঙন শুরু হয়েছে। কিন্তু তারা কোনো ব্যবস্থা নেয়নি।
চাঁদপুর পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী আশরাফ উদ্দিন বলেন, ভাঙন প্রতিরোধে আমাদের চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে। রাত থেকেই শ্রমিক কাজ করতে শুরু করেছেন। এখানে পানির গভীরতা প্রায় ৪৫ ফুট। তারপরেও কাজ বন্ধ নেই।
চাঁদপুর পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. বাবুল আখতার জানান, বুধবার রাত ১০টায় পুরানবাজার হরিসভা এলাকায় ভয়াবহ ফাঁটল দেখা যায়। এ সময় শহর রক্ষা বাঁধের বেশকিছু ডাম্প করা ব্লক প্রবল স্রোতরে তোড়ে নদীতে তলিয়ে বিলীন হয়ে যায়। ২৫ মিটার এলাকাজুড়ে ফাঁটল দেখা দেয়ায় স্থানীয় লোকজনের মাঝে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে।
তিনি জানান, ভাঙন রোধে জরুরি ভিত্তিতে বালুভর্তি বস্তা ফেলা শুরু হয়েছে। মেঘনা নদীর পানি প্রবল বেগে প্রবাহিত হওয়ার পাশাপাশি সৃষ্ট ঘূর্ণিপাকে হরিসভাসহ পুরানবাজার ব্যবসায়িক এলাকাটি ঝুঁকিতে রয়েছে।