বগুড়ায় সাধারণ মানুষকে হয়রানি ও চাঁদাবাজির অভিযোগে দুই পুলিশ সদস্যকে সদর থানা থেকে প্রত্যাহার করা হয়েছে। পুলিশ সুপার সুদীপ কুমার চক্রবর্তীর আদেশে শুক্রবার রাতেই তাদেরকে থানা থেকে প্রত্যাহার করে বগুড়া পুলিশ লাইন্সে সংযুক্ত করা হয়।
অভিযুক্ত পুলিশ সদস্যরা হলেন, বগুড়া সদর থানার সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই) আবদুল্লাহ আল মোস্তফা ও কনস্টেবল মাহিদুর রহমান।
আরও পড়ুন: মেঘনায় নৌপুলিশের ওপর জেলেদের হামলা: আটক ৫
পুলিশ সূত্র জানায়, শুক্রবার রাত ৯টার দিকে এএসআই মোস্তফা ও কনস্টেবল মাহিদুর মোটরসাইকেলযোগে সদর থানা থেকে ৭ কিলোমিটার দূরে মম ইন ইকো পার্কে যান। এ সময় তারা ডিউটিতে ছিলেন না এবং সাদা পোশাকে ছিলেন। তারা পার্কে মোটরসাইকেল নিয়ে ঘুরতে আসা লোকজনকে জিজ্ঞাসাবাদের নামে হয়রানি করতে থাকেন। এক পর্যায়ে রাত সাড়ে ৯টার দিকে মোটরসাইকেলের তিন আরোহীতে আটক করে ২ হাজার টাকা দাবি করেন। এনিয়ে তাদের সাথে তর্ক বিতর্ক শুরু হয়। পরে অন্যান্য লোকজন দুই পুলিশ সদস্যকে ঘেরাও করে। এ খবর পেয়ে মম ইন ইকো পার্কের কর্মকর্তারা দুই পুলিশ সদস্যের পরিচয় জেনে তাদেরকে নিরাপদে থানায় পাঠিয়ে দেন। বিষয়টি পুলিশেন ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হলে ওই রাতেই তাদেরকে থানা থেকে প্রত্যাহার করা হয়।
আরও পড়ুন: শরীর তল্লশী করে টাকা হাতিয়ে নেয়া: বগুড়ায় ৪ পুলিশ প্রত্যাহার
এ ব্যাপারে অভিযুক্ত এএসআই আব্দুল্লাহ আল মোস্তফা জানান, তারা মোটরসাইকেলযোগে মম ইন ইকো পার্কের ভেতর দিয়ে পল্লী মঙ্গল যাচ্ছিলেন। পার্কের একটি মোটরসাইকেলের গতিবিধি সন্দেহজনক মনে হয়। এসময় তাদেরকে জিজ্ঞাসাবাদকালে কিছু লোক আমাদেরকে চিনতে না পেরে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করে। পরে পরিচয় দেয়া হলে তারা চলে যায় এবং মোটরসাইকেল আরোহী তিনজনকেও ছেড়ে দেয়া হয়।
আরও পড়ুন: আইসোলেশনে থাকা হাজতির পলায়ন: ২ পুলিশ প্রত্যাহার
জেলা পুলিশের মুখপাত্র ও সদর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ফয়সাল মাহমুদ বলেন, ডিউটি ছাড়া তারা মম ইন পার্কে গিয়েছিল। সেখানে সংঘটিত একটি ঘটনায় অভিযোগের প্রেক্ষিতে দুই পুলিশ সদস্যকে প্রত্যাহার করা হয়েছে। এ ব্যাপারে অধিকতর তদন্ত চলছে।