শেরপুরে পৌঁছেছে চীনের তৈরি করোনা ভাইরাসের ২০ হাজার ৮০০ ডোজ টিকা। রবিবার সকালে জেলা টিকা গ্রহণ কমিটির সভাপতি সিভিল সার্জন ডা. এ.কে.এম. আনওয়ারুর রউফ সিনোফার্মের এ টিকা গ্রহণ করেন। বেক্সিমকো ফার্মার একটি বিশেষ ফ্রিজার ভ্যানে করে এসব টিকা শেরপুরে আনার পর জেলা টিকা কমিটির কাছে হস্তান্তর করা হয়।
সিভিল সার্জন ডা. এ.কে.এম. আনওয়ারুর রউফ জানান, আনুষ্ঠানিকতা সেরে টিকাগুলো সিভিল সার্জন কার্যালয়ের কোল্ড স্টোরেজে রাখা হয়েছে। কোভিড-১৯ ভ্যাক্সিনেশন প্রোগ্রামের তৃতীয় পর্যায়ে প্রথম ও দ্বিতীয় ডোজের জন্য চীনের তৈরি এসব টিকা ব্যবহৃত হবে।
আরও পড়ুনঃ শিগগিরই আসছে ফাইজারের ৬০ লাখ ডোজ টিকা
সিভিল সার্জন আরও বলেন, আমরা আজই টিকাগুলো উপজেলায় পাঠিয়ে দিচ্ছি। চলমান দ্বিতীয় ডেজের টিকাদানের পাশাপাশি আশা করছি আগামীকাল সোমবার (১২ জুলাই) থেকেই এ টিকাদান কর্মসূচি ৫ উপজেলায় শুরু হবে। টিকা দেওয়া হবে জেলা সদরের ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতাল কেন্দ্রে এবং উপজেলা হাসপাতালগুলোর নির্ধারিত কেন্দ্রে। যারা আগে রেজিস্ট্রেশন করেছেন কেবল তারাই গ্রহণ করতে পারবেন এই টিকা।
আরও পড়ুনঃ চলতি মাসে কোভ্যাক্সের ৩৫ লাখ টিকা পাবে বাংলাদেশ: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
উল্লেখ্য, চলতি বছরের ৩১ জানুয়ারি প্রথম ধাপে শেরপুর জেলায় ভারতের সেরাম ইনস্টিটিউটের তৈরি অক্সফোর্ড-এস্ট্রাজেনেকার ৩৬ হাজার ডোজ টিকা পাঠানো হয়। ১৮ জুন দ্বিতীয় ধাপে চীনের সিনোফার্মের তৈরি ১২ হাজার ডোজ টিকা এবং ১১ জুলাই তৃতীয় ধাপে ২০ হাজার ৮০০ ডোজ টিকা পাঠানো হয়। সব মিলিয়ে এ পর্যন্ত শেরপুরে ৬৮ হাজার ৮০০ ডোজ টিকা পাঠানো হয়েছে।
এদিকে, শেরপুরে করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত ও মৃত্যুর সংখ্যা বাড়ছেই। গত ২৪ ঘণ্টায় রেকর্ড আরও ১১৩ জন নতুন করে শনাক্ত হয়েছেন। মৃত্যু হয়েছে আরও তিন জনের। এ নিয়ে জেলায় মোট মৃত্যু হলো ৪১ জনের।
আরও পড়ুনঃ করোনা: খুলনার তিন হাসপাতালে ১৪ মৃত্যু
রবিবার সকালে সিভিল সার্জন কার্যালয়ের নিয়মিত স্বাস্থ্য বুলেটিনে জানানো হয় ২৪ ঘণ্টায় শনাক্তের হার ৩৪ দশমিক ৬৬ শতাংশ। বুলেটিনের তথ্যমতে, নতুন ১১৩ জনসহ জেলায় এ পর্যন্ত করোনা শনাক্ত হয়েছেন ২ হাজার ২১৯ জন। তারমধ্যে সুস্থ হয়েছেন ১ হাজার ১৮১ জন। বর্তমানে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা ৯৯৮ জন। ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালের করোনা ও আইসোলেশন ওয়ার্ডে চিকিৎসাধীন রয়েছেন ৯৪ জন।
আরও পড়ুনঃ চট্টগ্রামে করোনায় একদিনে ১৪ মৃত্যু, শনাক্ত ৭০৯
জেলায় মোট কোভিড-১৯ টিকা গ্রহণকারীর সংখ্যা ৫৬ হাজার ৩৯১ জন। তারমধ্যে প্রথম ডোজ নিয়েছেন ৩৪ হাজার ৬৬০ জন এবং দ্বিতীয় ডোজ ২১ হাজার ৭৩১ জন।
সিভিল সার্জন জানান, জনগণ স্বপ্রনোদিত হয়ে মাস্ক পরিধান না করলে কোভিড-১৯ সংক্রমন নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব হবে না। কাজেই মাস্ক পরিধানে সবাইকে দায়িত্বশীল ভূমিকা পালন করতে হবে। তিনি করোনা সংক্রমণ রোধে মাস্ক পড়া, স্বাস্থ্য বিধি মেনে চলা এবং আগামী ২ সপ্তাহ বিনা প্রয়োজনে ঘর থেকে বাইরে বের না হওয়ার অনুরোধ জানিয়েছেন।