চুয়াডাঙ্গায় একসঙ্গে জন্ম নেওয়া চার শিশুই একে একে মারা গেল। যদিও জন্মের এক ঘণ্টার মধ্যে ছেলে শিশুটি মারা যায়। এরপর বেঁচে থাকা তিন মেয়ে শিশু পদ্মা, মেঘনা ও যমুনা জন্মের ৩৬ ঘণ্টার মধ্যে একে একে মারা যায়।
শুক্রবার (২৭ অক্টোবর) সন্ধ্যা থেকে রবিবার (২৮ অক্টোবর) ভোর পর্যন্ত তিন মেয়ে শিশুই মারা যায়।
আরও পড়ুন: নাটোরে পুকুরে ডুবে শিশুর মৃত্যু
চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের শিশু বিশেষজ্ঞ ডা. মাহবুবুর রহমান মিলন বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, এর আগে বৃহস্পতিবার (২৬ অক্টোবর) সকাল সাড়ে ৯টায় চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে এক সঙ্গে চার শিশু (তিন মেয়ে ও এক ছেলে) জন্ম দেন তসলিমা খাতুন (২৫) নামের এক গৃহবধূ। চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের গাইনি বিশেষজ্ঞ ডা. আকলিমা খাতুন সেসময় সফলভাবে কোনো অস্ত্রোপচার ছাড়াই বাচ্চা প্রসব করান।
তিনি আরও জানান, সাধারণত কোনো শিশু যদি ৩৭ সপ্তাহের পর জন্ম গ্রহণ করে ও তার ওজন ২ থেকে ২ দশমিক ৫০ কেজি হয় তাকে আমরা পুষ্ট বাচ্চা বলি। এর চেয়ে কম হলে সেগুলো অপুষ্ট বাচ্চা। এক সঙ্গে যে চারটা বাচ্চা জন্ম নিয়েছে তারা সময়ের ২ মাস আগেই জন্ম গ্রহণ করেছে।
তিনি জোনান, তাদের একেরজনের ওজন ১ দশমিক ৫ কেজির মতো বা তারও কিছু কম ছিল। যার কারণে তাদের ফুসফুসসহ অনেক অঙ্গ পরিপক্ব হয়নি। নিজে থেকেও শ্বাস-প্রশ্বাস নিতে পারছিল না। তাদের উন্নত চিকিৎসার জন্যে ও আইসিইউ সাপোর্ট দেওয়ার জন্যে বাইরে নেওয়ার পরামর্শ দিয়েছিলাম। আমরা কৃত্রিম শ্বাস-প্রশ্বাসের ব্যবস্থাও করেছি। যতটা সম্ভব আমরা চিকিৎসা দিয়েছি। আপ্রাণ চেষ্টা করেও তাদের বাঁচানো সম্ভব হলো না।
এদিকে শিশুদের বাবা ইমরান হোসেন বলেন, আমার তিন মেয়ে সন্ধ্যা পর্যন্ত সুস্থই ছিল। হঠাৎ একজনের নাক দিয়ে রক্ত বের হয়ে কিছুক্ষণ পর মারা যায়। এর কিছুক্ষণ পর আরও একজন অসুস্থ হয়ে মারা যায়। মৃত দুই মেয়েকে নিয়ে বাড়ি এসে দাফন করার প্রস্তুতি নিতে নিতে আরও একজন মারা যায়।