সিলেটের ছোটমণি নিবাসে শিশু হত্যার ঘটনায় কমিশনের পরিচালক (অভিযোগ ও তদন্ত) (জেলা ও দায়রা জজ) মো. আশরাফুল আলমকে প্রধান করে তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করেছে জাতীয় মানবাধিকার কমিশন।
কমিটির অন্য সদস্যরা হলেন-কমিশনের উপপরিচালক মোহাম্মদ গাজী সালাহ উদ্দিন ও সিলেট জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট রেহেনা আক্তার।
মঙ্গলবার সন্ধ্যায় সংশ্লিষ্টদের জিজ্ঞাসাবাদ শেষে কমিটির প্রধান মো. আশরাফুল আলম বলেন, ইতোমধ্যে পুলিশ এ ঘটনায় মামলা দায়ের করেছে। ওই আয়াকে কোর্টে সোপর্দ করার পর তিনি স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দিও দিয়েছে।
আরও পড়ুন: রেলওয়ের ৭ হাজার ফিস প্লেট গায়েব: তদন্ত কমিটি গঠন
তিনি বলেন, আমরা আসছি এ ঘটনায় কর্তৃপক্ষের দায়িত্বে অবহেলা ছিল কি না বা এ রকম আরও কিছু আছে কি না খতিয়ে দেখতে। আমরা শিগগিরই আমাদের কমিশনের প্রতিবেদন পেশ করব।
উল্লেখ্য, গত ১২ আগস্ট গভীর রাতে সিলেটের সমাজসেবা অধিদপ্তরের ছোটমণি নিবাস থেকে আয়া সুলতানা ফেরদৌসি সিদ্দিকাকে আটক করে এসএমপির কোতোয়ালি থানা পুলিশ। গত ১৪ আগস্ট শনিবার রাতে সিলেটের মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট সাইফুর রহমানের আদালতে আয়া সুলতানা ফেরদৌসি সিদ্দিকা স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন।
আদালতে জবানবন্দিতে তিনি বলেন, উচ্চ রক্তচাপের কারণে গত ২২ জুলাই সকালে তিনি ওষুধ সেবন করেন। তাই তার মাথা ঠিক ছিল না। ওই দিন রাতে শিশু নাবিল কান্না করছিল। তার কান্নাকাটি সহ্য না হওয়ায় দুই মাস বয়সী নাবিলকে ছুড়ে মারেন। পরে বালিশচাপা দিলে তার মৃত্যু ঘটে। এ ঘটনার পরপরই সিসিটিভি ফুটেজ দেখে ছোটমণি নিবাসের উপতত্ত্বাবধায়ক রূপক দেব, অফিস সহকারী শফিকুল ও নাজিম উদ্দিনসহ কয়েকজন ঘটনাটি গোপন রাখতে বলেন।
আরও পড়ুন: সুন্দরবনের আগুন নিয়ন্ত্রণে; তদন্ত কমিটি গঠন
হত্যাকাণ্ডের দুই মাস আগে সিলেটের গোয়াইনঘাট থেকে শিশুটিকে ছোটমণি নিবাসে পাঠানো হয়। পরে তার নাম রাখা হয় নাবিল। সে মানসিক ভারসাম্যহীন এক নারীর সন্তান। এ ঘটনায় পুলিশ বাদী হয়ে মামলা দায়ের করেছে।