জয়পুরহাট সদরে এক সেনা সদস্যকে লাঠিপেটা করার ঘটনায় দায়েরকৃত মামলায় ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যানসহ দু’জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় র্যাব-৫ জয়পুরহাট ক্যাম্পের সদস্যরা অভিযান চালিয়ে জয়পুরহাট শহরের ধানমন্ডি এলাকা থেকে ইউপি চেয়ারম্যানকে এবং সদর উপজেলার মীরগ্রামের নিজ বাড়ি থেকে অপর জনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা হলেন, জয়পুরহাট সদর উপজেলার আমদই ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান শাহানুর আলম সাবু (৫১) ও একই এলাকার আবদুল ওহাব (৫৩)।
আরও পড়ুন: আদালত চত্বর থেকে পালানো হত্যা মামলার আসামি ফের গ্রেপ্তার
জানা গেছে, প্রতিবেশি আবদুল ওহাবের সঙ্গে সেনা সদস্য রুহুল আমিন জমি সংক্রান্ত বিরোধ চলছিল। বুধবার দুপুরে ওই জমি নিয়ে রুহুল আমিন ও প্রতিবেশি ওহাবের তর্কবির্তক ও একপর্যায়ে হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। পরে দুজনের মধ্যে সমঝোতা হয়।
ওই দিন বিকালে আমদই ইউপি সদস্য হাফিজুর রহমান মোবাইল ফোনে সেনাসদস্য রুহুল আমিনকে স্থানীয় চৌমুহনী বাজারে তার ব্যক্তিগত অফিসে (কার্যালয়ে) আসতে বলেন। কয়েকজন স্বজনসহ রুহুল আমিন সেখানে গেলে ইউপি চেয়ারম্যান শাহানুর আলম সাবু তাকে একটি ফাঁকা আপসনামায় স্বাক্ষর করতে চাপ দেন। তিনি রাজি না হওয়ায় এতে ক্ষিপ্ত হয়ে ইউপি চেয়ারম্যান সাবু গ্রাম পুলিশের কাছ থেকে লাঠি নিয়ে সেনাসদস্য রুহুল আমিনকে বেধড়ক পেটাতে থাকে। একপর্যায়ে তিনি জ্ঞান হারিয়ে ফেলেন। পরে গুরুতর আহতাবস্থায় তাকে বগুড়ার সম্মিলিত সামরিক হাসপাতাল (সিএমএইচে) ভর্তি করেন স্বজনরা।
এ ঘটনায় আহত সেনাসদস্য রুহুল আমিনের চাচা মাহফুজুল হক বাদী হয়ে বৃহস্পতিবার বিকালে ইউপি চেয়ারম্যান শাহানুর আলম সাবুসহ চার জনের নাম উল্লেখ করে জয়পুরহাট সদর থানায় দায়ের মামলা করেন।
আরও পড়ুন: সিলেটে গ্রেপ্তার ১০: জুয়ার সরঞ্জাম জব্দ
জয়পুরহাট সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এ কে এম আলমগীর জাহান জানান, সেনাসদস্যকে লাঠিপেটার ঘটনায় ইউপি চেয়ারম্যান শাহানুর আলম সাবুসহ চার জনের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। এ ব্যাপারেপুলিশ ও র্যাব পৃথক অভিযান চালিয়ে ইউপি চেয়ারম্যান শাহানুর আলম সাবুসহ দু’জনকে গ্রেপ্তার করা হযেছে।
ওসি জানান, গ্রেপ্তার ব্যক্তিদেরকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। অন্য আসামিদের গ্রেপ্তার অভিযান চলছে।