টানা বৃষ্টিতে সিলেট নগরী জুড়ে জলাবদ্ধতা দেখা দিয়েছে। মাত্র কয়েক ঘণ্টার বৃষ্টিতে বেশিরভাগ এলাকার রাস্তাঘাট পানিতে তলিয়ে গেছে। সড়ক, বাসাবাড়ি, দোকানপাটে পানি ঢুকে পড়েছে।
পানি ঢুকে পড়েছে ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, সিলেট রেলওয়ে স্টেশনের মতো গুরুত্বপূর্ণ প্রতিষ্ঠানেও। বেড়েছে সুরমা নদীসহ জেলার সবকটি নদী ও খাল-বিলের পানি।
তিন দিন ধরে সিলেটে অবিরাম বৃষ্টি হচ্ছে। শুক্রবার থেকে শুরু হয় ভারী বর্ষণ। শুক্রবার রাত থেকেই পানি ঢুকতে শুরু করে নগরের বিভিন্ন এলাকার বাসাবাড়ি ও দোকানপাটে।
শনিবার (৭ অক্টোবর) সকালের মধ্যে তলিয়ে যায় নগরীর বেশিরভাগ এলাকার রাস্তাঘাট। শনিবার দুপুর সাড়ে ১২টায় এ রিপোর্ট লেখার সময়ও বৃষ্টি চলছিল।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, নগরীর এমএজি ওসমানী মেডিকেলে কলেজ হাসপাতাল, ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর, কাজলশাহ, শাহজালাল উপশহর, দরগামহল্লা, কালীঘাট, বাগবাড়ি, কানিশাইল, লামাপাড়া, লালা দিঘিরপাড়, মাছুদিঘিরপাড়, বাদামবাগিছা, শাহপরান, কুয়ারপার, উপশহর, সোবহানীঘাট, যতরপুর, শিবগঞ্জ, মাছিমপুর, কামালগড়, খারপাড়া ও দক্ষিণ সুরমার পিরোজপুর, সিলেট রেলওয়ে স্টেশনসহ সিলেট নগরের বেশিরভাগ এলাকার রাস্তা-ঘাট তলিয়ে বাসাবাড়ি এবং ব্যবসা প্রতিষ্ঠান পানি জমেছে।
এ ছাড়া, জেলার সবকটি উপজেলার নিম্নাঞ্চল ইতোমধ্যে প্লাবিত হয়েছে। নিচু এলাকার ঘর বাড়িতে পানি ঢুকে পড়েছে।
নগরীর পাঠানটুলা এলাকায় সিলেট-সুনামগঞ্জ সড়ক এবং স্টেশন রোড লাউয়াই সড়কে কোমর পর্যন্ত পানি জমেছে বলে জানা গেছে। ফলে এইসব সড়কে যান চলাচল বন্ধ হয়ে গেছে।
সিলেট আবহাওয়া অফিসের আবহাওয়াবিদ শাহ মো. সজিব হোসাইন জানান, শুক্রবার সকাল ৬টা থেকে শনিবার সকাল ৬টা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় ৩৫৭ দশমিক ৮ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে।
এ ছাড়া শনিবার সকাল ৬টা থেকে ৯টা পর্যন্ত বৃষ্টি হয়েছে ১০২ মিলিমিটার।
আরও পড়ুন: কুমিল্লায় গর্তে জমে থাকা বৃষ্টির পানিতে ডুবে শিশুর মৃত্যু