জেলার উখিয়ার থাইংখালী হাকিমপাড়া ১৪ নম্বর রোহিঙ্গা ক্যাম্পের এ/৪ ব্লক থেকে বৃহস্পতিবার বিকাল ৫টার দিকে এসব রোহিঙ্গা নেতাকে উদ্ধার করা হয়।
আরও পড়ুন: ২০১৭ সালের চুক্তির ভিত্তিতে রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনে অঙ্গীকারবদ্ধ মিয়ানমার: দেশটির মন্ত্রী
তারা হলেন টেকনাফ ২২ নম্বর রোহিঙ্গা ক্যাম্পের ডি ব্লকের হারুনুর রশিদের ছেলে সাব্বির (৪২), একই ক্যাম্পের এ ব্লকের নজু মিয়ার ছেলে মো. ইউসুপ (৩২) ও বি ব্লকের জুলফিকারের ছেলে আবু মুছা (২৯)।
অপহৃত অন্য দুজন রোহিঙ্গা মাঝি এখনও নিখোঁজ রয়েছেন। তারা হলেন ঊনছিপ্রাং রইক্ষ্যং পুটিবনিয়া ক্যাম্পের হেড মাঝি রফিক ও সি-ব্লকের হেড মাঝি আমানুল্লাহ।
আরও পড়ুন: রোহিঙ্গা ইস্যুতে বড় দেশগুলোর সিদ্ধান্ত কৌশলগত: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
ফিরে দেখা ২০২০: রোহিঙ্গাদের জন্য যন্ত্রণার আরও এক বছর
উদ্ধারের বিষয়ে রোহিঙ্গা ক্যাম্পে দায়িত্বরত ১৬ আমর্ড পুলিশ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক মো. তারিকুল ইসলাম জানান, বৃহস্পতিবার বিকালে নিরাপত্তা বাহিনী এবং এপিবিএন পুলিশের যৌথবাহিনী অভিযান চালায়। নিখোঁজ অপর দুজনকে উদ্ধার করতে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
উদ্ধার হওয়া রোহিঙ্গা নেতাদের উখিয়ার পালংখালী আর্মি অফিসে নিয়ে যাওয়া হয়েছে বলে জানান তিনি।
গত ১০ ফেব্রুয়ারি বেলা ১১টার দিকে টেকনাফের ২১ নম্বর চাকমারকূল ক্যাম্পে বিশেষ সভায় যোগদান করেন ২২ রোহিঙ্গা নেতা। ওই ২২ রোহিঙ্গা নেতাদের মধ্যে ছিলেন অপহৃত পাঁচজন।
আরও পড়ুন: বছরের ২য় প্রান্তিকে রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন নিয়ে আশাবাদী বাংলাদেশ
বাংলাদেশি পাসপোর্টধারী রোহিঙ্গারা বিবেচিত হচ্ছেন বাংলাদেশি হিসাবে: সৌদি দূত
রোহিঙ্গাদের ফেরাতে মিয়ানমার রাজি থাকলেও আন্তরিক নয়: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
রোহিঙ্গা ক্যাম্পের উগ্রপন্থী কিছু সশস্ত্র গ্রুপের সদস্যরা প্রতিশোধ নিতে সুযোগ বুঝে এসব হেড মাঝিকে অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে অপহরণ করে নিয়ে যায়। নিখোঁজ এসব মাঝিদের অক্ষত অবস্থায় ফেরত পাওয়ার জন্য সহায়তা কামনা করলে বিকালে নিরাপত্তা বাহিনী এবং এপিবিএন পুলিশ সদস্যরা অভিযান চালিয়ে তিনজন মাঝিকে উদ্ধার করতে সক্ষম হয়।