ফায়ার সার্ভিসসহ উপস্থিত রোহিঙ্গাদের সহায়তায় বৃহস্পতিবার সকাল নাগাদ আগুন পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে আসে। এই ঘটনায় ১৫/২০জন নারী-পুরুষ আহত হয়েছেন।
আরও পড়ুন: ইউনাইটেডে আগুন: নিহতদের পরিবারকে ৩০ লাখ টাকা করে ক্ষতিপূরণ দেয়ার নির্দেশ
রোহিঙ্গা প্রত্যাবসান: বাংলাদেশ-মিয়ানমার-চীনের ত্রিপক্ষীয় বৈঠক ১৯ জানুয়ারি
জানা যায়, বৃহস্পতিবার ভোর রাত ৩টার দিকে টেকনাফ নয়াপাড়া রেজিষ্টার্ড শরণার্থী ক্যাম্পের ই-ব্লকের একটি ঘর থেকে আকস্মিক অগ্নিকাণ্ডের সুত্রপাত হয়। প্রত্যেক বাড়িতে গ্যাস সিলিন্ডার থাকার কারণে তা দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে এবং ঘণ্টার মধ্যে পুরো ব্লকে ছড়িয়ে পড়ে।
খবর পেয়ে টেকনাফ ফায়ার সার্ভিস ইউনিটসহ রোহিঙ্গারা আগুন নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা চালায়। দীর্ঘ চেষ্টার পর ভোরের দিকে আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে।
সংশ্লিষ্টরা জানান, এই অগ্নিকাণ্ডে রোহিঙ্গা ক্যাম্পের ই-ব্লকের ৪৩২টি রোহিঙ্গা বসতির ঘর, আন্তর্জাতিক শরণার্থী সংস্থা ইউএনএইচসিআর’র কমিউনিটি সেন্টার এবং পার্শ্ববর্তী দুটি স্থানীয় জনবসতির ঘরসহ ৪৩৫টি ঘর আগুনে পুড়ে ছাঁই হয়ে গেছে।
এছাড়া পার্শ্ববর্তী ভাসমান আরো কিছু ঝুপড়ি ঘর ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে বলে বেশ কয়েকজন দাবি করেন।
আরও পড়ুন: গাজীপুরে আগুনে স্বামী-স্ত্রীসহ ৪ পোশাক শ্রমিক নিহত
চট্টগ্রামে বস্তিতে, ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় যাত্রীবাহী বাসে আগুন
অগ্নিকাণ্ডের প্রকৃত উৎস সম্পর্কে কেউ নিশ্চিত হতে পারেনি, তবে অনেকে ধারণা করছেন রোহিঙ্গাদের ব্যবহৃত গ্যাস সিলিন্ডার থেকে এই অগ্নিকাণ্ডের সূত্রপাত হতে পারে। আবার অনেকে মনে করছেন, হয়তো কেউ ধ্বংসাত্মক মনোভাব নিয়ে অগ্নিসংযোগ করে থাকতে পারেন।
এসব ঘটনার সত্যতা নিশ্চেত করে নয়াপাড়া শরণার্থী ক্যাম্পের ক্যাম্প ইনচার্জ আব্দুল হান্নান জানান, অগ্নিকাণ্ডের উৎস সম্পর্কে এখনো নিশ্চিত হওয়া যায়নি, তবে প্রকৃত কারণ খুঁজে বের করার চেষ্টা চলছে।
আরও পড়ুন: রোহিঙ্গা ইস্যুতে বড় দেশগুলোর সিদ্ধান্ত কৌশলগত: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
এদিকে সকাল ১০টার দিকে কক্সবাজার ত্রাণ শরণার্থী ও পুনর্বাসন বিষয়ক কমিশনার শাহ রেজওয়ান হায়াত অগ্নিকাণ্ডে ক্ষতিগ্রস্ত রোহিঙ্গা ক্যাম্প পরিদর্শন করেছেন।