শনিবার সকালে টেকনাফ ২ বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মোহাম্মদ ফয়সল হাসান খান জানান, শুক্রবার দিবাগত রাত ৩টার দিকে মিয়ানমার থেকে ইয়াবার একটি বড় চালান টেকনাফ সীমান্ত দিয়ে প্রবেশ করছে, এমন গোপন সংবাদের খবরে বিজিবির একটি বিশেষ টিম টেকনাফের হ্নীলা ইউনিয়নের লেদার ছ্যুরিখাল নামক এলাকায় নিকটস্থ নাফনদী এলাকায় অবস্থান নেয়।
এসময় একটি নৌকায় ৪-৫ জন লোক ওই এলাকা দিয়ে প্রবেশ করে। তাদের দেখে সন্দেহ হলে চ্যালেঞ্জ করলে বিজিবি’র উপস্থিতি টের পেয়ে ইয়াবা পাচারকারিরা বিজিবিকে লক্ষ্য করে গুলি চালায়। এসময় বিজিবির তিন সদস্য আহত হন।
তিনি দাবি করেন, পরে বিজিবিও আত্মরক্ষার্থে পাল্টা গুলি চালায়। এক পর্যায়ে ইয়াবা পাচারকারিরা গুলি করতে করতে নৌকা থেকে লাফ দিয়ে কেওড়া বাগানের দিকে পালিয়ে যায়। পরে ওই এলাকা থেকে ইয়াবা ও অস্ত্রসহ গুলিবিদ্ধ অবস্থায় অজ্ঞাত তিনজনকে উদ্ধার করে টেকনাফ হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে কক্সবাজার সদর হাসপাতালে পাঠায়। সেখানে চিকিৎসক তাদের মৃত ঘোষণা করেন।
ওই কর্মকর্তার দাবি, ঘটনাস্থল থেকে ১ লাখ ৮০ হাজার পিস ইয়াবা, দুটি দেশীয় তৈরি বন্ধুক, ২ রাউন্ড তাজা কার্তুজ, ১টি গুলির খালি খোসা, ১টি ধারালো কিরিচ উদ্ধার করা হয়েছে।
এ ঘটনায় মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।
অন্যদিকে একই রাতে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ মুছা আকবর (৩৬) নামে আরও এক ব্যক্তি নিহতের কথা জানায় পুলিশ।
নিহতের বাড়ি টেকনাফের হোয়াইক্যংয়ের তুলাতুলী এলাকায়।
টেকনাফ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) প্রদীপ কুমার দাশের ভাষ্য, পুলিশের সাথে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ লিপ্ত হলে পাল্টা গুলিতে একজন নিহত হয়। এ ঘটনায় পুলিশের তিন সদস্য আহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে।
নিহত চারজনের মরদেহ কক্সবাজার সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।