উপজেলার পূর্ব রাতোর গ্রামের হিন্দু পাড়ায় বুধবার সন্ধ্যায় এ আগুন লাগে। এতে মালামালসহ পাঁচ লাখের অধিক টাকার ক্ষতি হয়েছে।
স্থানীয়রা জানান, ওই গ্রামের পাথানুর বাড়ির ঠাকুর ঘরে সন্ধ্যাপ্রদীপ জ্বালাতে গিয়ে আগুনের সূত্রপাত হয়। পরে খবর পেয়ে পীরগঞ্জ ও রানীশংকৈল ফায়ার সার্ভিস ইউনিট ঘটনাস্থলে পৌঁছে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে।
আরও পড়ুন: মানুষের শত্রুতায় আগুনে প্রাণ দিল ১৫০০ মুরগি
উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান শাহরিয়ার আজম মুন্না ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সোহেল সুলতান জুলকার নাইন কবির ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। এ সময় স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুর রহিম উপস্থিত ছিলেন।
তারা ক্ষতিগ্রস্ত প্রতিটি পরিবারকে নগদ দুই হাজার টাকা, একটি কম্বল ও কিছু খাদ্যসামগ্রী বিতরণ করেন। এই সাথে রাতোর ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবক লীগ সভাপতি আব্দুস সবুর নিজ উদ্যোগে ক্ষতিগ্রস্তদের মাঝে চিড়ামুড়ি ও গুড় বিতরণ করেন।
আরও পড়ুন: আগুনে পুড়ল মুক্তিযোদ্ধা শহীদ লে. কমান্ডার মোয়াজ্জেমের স্মৃতিবিজড়িত বাড়িটি
সীতাকুণ্ডে অর্ধশতাধিক ঘর পুড়ে ছাই
চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে অর্ধশতাধিক ঘর পুড়ে গেছে। সেই সাথে ছাই হয়ে গেছে ছয়টি দোকান। আগুনে প্রায় অর্ধকোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে বলে দাবি করেছেন ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ীরা।
উপজেলার শীতলপুস্থ বগুলা বাজার এলাকায় বুধবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে এ আগুন লাগার ঘটনা ঘটে। দুই ঘণ্টাব্যাপী আগুনে ৫০টির মতো ঘর এবং একটি রাইস মিল, ফার্নিচারের দোকান ও চায়ের দোকানসহ ছয়টি দোকান সম্পূর্ণ পুড়ে ছাই হয়ে যায়।
আরও পড়ুন: বনভোজনের বাসে আগুন: প্রাণে রক্ষা পেল অর্ধশতাধিক যাত্রী
খবর পেয়ে কুমিরা ও নৌবাহিনী ফায়ার সার্ভিসের টিম ঘটনাস্থলে গিয়ে আগুন নেভাতে কাজ করে।
স্থানীয়রা জানান, জালাল মেম্বারের মালিকানাধীন ভাড়া ঘর ও দোকানে আগুন লাগে এবং তা দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে।
আগুনে প্রায় অর্ধ কোটি টাকার ক্ষতি হয় বলে জানান জালাল মেম্বার। তবে আগুনের সূত্রপাত কিভাবে হয়েছে তা কেউ জানাতে পারেননি।
আরও পড়ুন: মহাখালীর বস্তিতে পুড়ল ১০০ ঘর ও দোকান
রাইস মিলের মালিক মো. আলমগীর বলেন, ‘আগুনে সবচেয়ে বেশি ক্ষতি হয়েছে আমার। আমার দোকানে বিভিন্ন ব্যবসায়ীর হলুদ, মরিচ, অন্যান্য মসলা, চাল, ডালসহ বিভিন্ন মালামাল আগুনে পুড়ে গেছে। আমার প্রায় ১৫ লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে।’
স্থানীয়দের অভিযোগ, কুমিরা ফায়ার সার্ভিস ঘটনাস্থলে আসতে দেরি করায় আগুনে ক্ষয়ক্ষতি বেশি হয়েছে। এ বিষয়ে জানতে চাইলে কুমিরা ফায়ার সার্ভিসের স্টেশন অফিসার সুলতান মাহমুদ কোনো বক্তব্য দিতে রাজি হননি।