ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) ভ্রাম্যমাণ আদালত চলমান মশক নিধন অভিযানে মঙ্গলবার (২৫ জুলাই) পর্যন্ত ১৬ দিনে মোট ১৮১ মামলায় ১ কোটি ২৮ লাখ ১৮ হাজার ৫০০ টাকা আদায় করেছে।
মঙ্গলবার (২৫ জুলাই) এডিসের লার্ভা পাওয়ায় ৭টি মামলায় মোট ২ লাখ ২১ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করা হয়েছে।
অঞ্চল-৫ এর আওতাধীন মোহাম্মদপুর তাজমহল রোড এলাকায় আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মোতাকাব্বির আহমেদ এবং নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. নাসির উদ্দিন মাহমুদ এডিস মশার প্রকোপ নিয়ন্ত্রণে বিশেষ মশক নিধন অভিযান ও ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেন।
আরও পড়ুন: ডিএনসিসির মশক নিধন অভিযান: ২৩ প্রতিষ্ঠানকে ৩.৬৬ লাখ টাকা জরিমানা
অভিযানে দুইটি ভবনে এডিসের লার্ভা পাওয়ায় ২ মামলায় ৭০ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করা হয় এবং এডিস মশার প্রকোপ নিয়ন্ত্রণে জনগণকে সচেতন করা হয় ও সংশ্লিষ্ট সকলকে প্রয়োজনীয় নির্দেশনা প্রদান করা হয়।
অঞ্চল-৩ এর আওতাধীন তেজগাঁও শিল্প এলাকায় আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. জুলকার নায়ন অভিযান পরিচালনা করেন।
অভিযান পরিচালনাকালে বাসাবাড়ি, বাণিজ্যিক ভবন ও নির্মাণাধীন ভবনে, ফাঁকা প্লটে মশক বিরোধী অভিযানে এডিস মশার লার্ভা পাওয়ায় ৪টি ভবনের মালিককে ৪ মামলায় মোট ১ লাখ ২৬ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।
এছাড়া অঞ্চল-০৪ এর আওতাধীন ১০নং ওয়ার্ডের অন্তর্ভুক্ত লালকুঠি ও ৩য় কলোনি এলাকায় আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. আবেদ আলী অভিযান পরিচালনা করেন।
অভিযানে প্রায় ৬৫টি বাসাবাড়ি, ভবন, রেস্টুরেন্ট ও দোকানপাট পরিদর্শন করা হয়েছে।
একটি দোকানে এডিসের লার্ভা পাওয়ায় ৫ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। লার্ভা ধংস করা হয়েছে।
অঞ্চল-২ এর আওতাধীন মিরপুর সেকশন ৭ এলাকায় আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. জিয়াউর রহমান অভিযান পরিচালনা করেন।
অভিযানে একটি নির্মাণাধীন ভবনে লার্ভা পাওয়ায় ১টি মামলায় ২০ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করা হয়। এসময় উপস্থিত ছিলেন ডিএনসিসির প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল এ কে এম শফিকুর রহমান।
এছাড়াও ডিএনসিসি'র সহকারী স্বাস্থ্য কর্মকর্তাগণ ডিএনসিসির ১০টি অঞ্চলের বিভিন্ন স্থানে ঘুরে ঘুরে লিফলেট বিতরণ করে এবং মাইকিং করে জনসাধারণকে ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে সচেতন করেন।
শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের মধ্যে সচেতনতা বাড়াতে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে আলোচনা করা হয়। বাংলাদেশ স্কাউট ও বিএনসিসির সদস্যরাও ডিএনসিসির কর্মীদের সাথে যুক্ত হয়ে ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে সচেতনতা কার্যক্রম পরিচালনা করেন।
উল্লেখ্য, মাসব্যাপী বিশেষ মশক নিধন অভিযান তদারকির জন্য সকল বিভাগের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সমন্বয়ে ১০টি টিম গঠন করা হয়েছে।
১০টি টিম প্রতিদিন চলমান অভিযান তদারকি করছে।
আরও পড়ুন: ডিএনসিসির মশকনিধন অভিযান: ১৩ মামলায় ৮ লাখ ৮০ হাজার টাকা জরিমানা
ডিএনসিসির নিজস্ব স্থাপনায় এডিসের লার্ভা পাওয়ায় ৪ লাখ টাকা জরিমানা