ঢাকা মেট্রোপলিট পুলিশের (ডিএমপি) অতিরিক্ত কমিশনার গোয়েন্দা (ডিবি) হারুন অর-রশিদ দাবি করেছেন, ঢাকার আদালত প্রাঙ্গণ থেকে পালিয়ে যাওয়া নিষিদ্ধ জঙ্গি সংগঠন আনসার আল-ইসলামের দুই সদস্য ও মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামিকে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ট্র্যাক করছে।
সোমবার ঢাকার ডিএমপি মিডিয়া সেন্টারে সাংবাদিকদের ব্রিফিংকালে তিনি বলেন, যারা দুই জঙ্গিকে পালাতে সাহায্য করেছিল তারাও পুলিশের নজরদারিতে রয়েছে।
তিনি আরও বলেন, আমরা যে কোনও সময় তাদের গ্রেপ্তার করব।
আরও পড়ুন: ময়মনসিংহে ডিবি পরিচয়ে অপহরণচেষ্টার অভিযোগে আটক ৪
ডিবি কর্মকর্তা বলেন, বরখাস্ত সেনা মেজর সৈয়দ জিয়াউল হক ওরফে মেজর জিয়া জঙ্গিদের পালানোর পরিকল্পনা ও বাস্তবায়নের মূল পরিকল্পনাকারী। ‘তারা সবাই আমাদের নজরে আছে এবং বিচারের আওতায় আনা হবে।’
তিনি বলেন রবিবার মোহাম্মদপুর থানায় দায়ের করা একটি মামলায় মোট ১২ আসামি জঙ্গিকে আদালতে আনলে চার জঙ্গিকে ছিনিয়ে নেয়ার চেষ্টা করা হয়।
তিনি যোগ করেন, প্রকাশক ফয়সাল আরেফিন দীপন হত্যা মামলায় মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত দুই জঙ্গিকে অন্য জঙ্গিরা পুলিশ সদস্যদের ওপর পিপার স্প্রে ব্যবহার করে ছিনিয়ে নিয়ে যায়।
পলাতক আসামিরা হলেন- আবু সিদ্দিক সোহেল ওরফে সাকিব ওরফে সাজিদ ওরফে শাহাব ও মইনুল হাসান শামীম ওরফে সামির ওরফে সিফাত ওরফে ইমরান। তারা নিষিদ্ধ জঙ্গি সংগঠন আনসার আল ইসলামের সদস্য।
নিরাপত্তা ব্যবস্থার ফাঁকফোকর প্রসঙ্গে ডিবি প্রধান হারুন বলেন, জঙ্গিদের আদালতে হাজির করতে সব সময়ই কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। ‘কিন্তু গতকাল যা ঘটেছে তা অপ্রত্যাশিত। দায়িত্বে অবহেলার জন্য পাঁচ পুলিশ সদস্যকেও বরখাস্ত করা হয়েছে।’
টহল জোরদার করা হচ্ছে এবং সিসিটিভি ফুটেজ কঠোরভাবে যাচাই-বাছাই করা হচ্ছে উল্লেখ করে ডিবি প্রধান বলেন, জঙ্গিদের আদালতে আনার ক্ষেত্রে নিরাপত্তা বাড়ানো হয়েছে। ‘জঙ্গি পালিয়ে যাওয়ার সঙ্গে জড়িত প্রত্যেক আসামিকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।’
ঘটনার পর ডিবির কাউন্টার টেরোরিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম (সিটিটিসি) বোমা নিষ্ক্রিয়করণ ইউনিটসহ বিভিন্ন টিমের কর্মকর্তারা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। এছাড়া সর্বত্র চেকপোস্ট বসানো হয়েছে।
এ ঘটনায় ২০ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেছে পুলিশ। রবিবার বাংলাদেশ পুলিশ পাঁচ সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করে তিন কার্যদিবসের মধ্যে প্রতিবেদন জমা দিতে বলেছে।