আরও পড়ুন: ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় বন্যার স্রোতে ধসে গেল সেতু
কৃষি যন্ত্রপাতি পারাপার করতে না পারায় দিনের পর দিন দুর্ভোগের শিকার হচ্ছেন কৃষকরা। এতে কৃষিকাজ বাধাগ্রস্ত হচ্ছে। এছাড়া, দীর্ঘ দিন যাবৎ এ দুর্ভোগের শিকারে বিরক্ত স্থানীয়রা। এ সমস্যার দ্রুত সমাধান চান তারা।
স্থানীয়রা জানান, দক্ষিণ শ্রীপুর ইউনিয়নের সড়কটি দিয়ে ইলামবারী, জগদীশপুর ও নোয়াগাঁওসহ বিভিন্ন গ্রামের হাজারও লোকজন যাতায়াত করেন। এখানকার সেতু দিয়ে কৃষকদের পাওয়ার টিলার, পানির পাম্প, মাড়াইকল, ট্রলি নিয়মিত পারাপার করতে হয়। গেল বর্ষাকালের বন্যায় এ সেতু ডুবে যায়। তারপর ধীরে ধীরে পানি কমে যাওয়ার পর ভাঙা সেতু চোখে পড়ে।
আর পড়ুন: প্রায় ৬৫০ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মাণ, পুনর্নির্মাণ করা হবে ২১টি সেতু
বর্তমানে সেতুর পাশ দিয়ে বাঁশের তৈরি সাঁকোতে করে যাতায়াত করছে স্থানীয়রা। তবে সেখান দিয়ে কৃষি সরঞ্জাম হাওরের মধ্যে পারাপারের কোনো সুযোগ নেই। সেই সাথে অন্য কোনো সড়ক না থাকায় নানা প্রকার ভোগান্তিতে দিন কাটাতে হচ্ছে স্থানীয় কৃষকদের।
আরও পড়ুন: কর্ণফুলীর ওপর রেল-সড়ক সেতু নির্মাণ আগামী বছর শুরু: রেলপথমন্ত্রী
তারা জানান, পাওয়ার টিলার ও ট্রাক্টর পারাপার করতে না পারায় কৃষি জমিতে হালচাষ করতে গিয়ে নাজেহাল অবস্থা কৃষকদের। জমিতে হালচাষ প্রায় বন্ধের মুখে। স্থানীয়দের দাবি দ্রুত সেতু মেরামত করে কৃষি যন্ত্রপাতি ও সর্বসাধারণের চলাচল উপযোগী করে দেয়া।
স্থানীয় এক কৃষক বলেন, ‘নিজের পাওয়ার টিলার থাকার পরেও এপার থেকে ওপারের জমিতে হালচাষ করতে পারি না। তাই বাধ্য হয়ে অন্যের পাওয়ার টিলার দিয়েই জমিতে হালচাষ করি। সে ক্ষেত্রে অধিক টাকা ব্যয় হচ্ছে। এর একমাত্র কারণ ভাঙা সেতুটি। এ সেতু দিয়েই কৃষি যন্ত্রপাতি পারাপার করতে হয়।’
আরও পড়ুন: সেতু না থাকায় চরম দুর্ভোগে লালমনিরহাটের কয়েক গ্রামের হাজারো মানুষ
দক্ষিণ শ্রীপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান বিশ্বজিৎ সরকার বলেন, ‘দ্রুত সেতুটি চলাচল উপযোগী করা হবে।’