বগুড়ার শাজাহানপুরে থানায় ঢুকে আড়িয়া ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক মিঠুনকে ছিনিয়ে নেওয়ার চেষ্টা ও পুলিশের উপর হামলার অভিযোগে স্বেচ্ছাসেবক লীগের নেতা নুরুজ্জামানসহ ৯ জনকে আটক করা হয়েছে।
শনিবার রাতে শাজাহানপুর থানা থেকে আসামিকে ছিনিয়ে নিতে গিয়ে জয়বাংলা স্লোগান দিয়ে পুলিশের উপর হামলা চালান তারা। এ সময় থানার ওসি শহিদুল ইসলামসহ ৮ পুলিশ পুলিশ সদস্য আহত হয়েছেন।
আরও পড়ুন: বরগুনা প্রেস ক্লাব দখলের চেষ্টার মামলায় ৭ আসামি কারাগারে
এ ঘটনায় শনিবার রাতেই পুলিশ অভিযান চালিয়ে মাঝিড়া এলাকা থেকে নুরুজ্জামানসহ ৯ জনকে আটক করা হয়।
পুলিশ সূত্রে জানা যায়, শনিবার রাত ৯টার দিকে আড়িয়া বাজারে পুলিশ অভিযান চালিয়ে মিঠুনকে আটক করে। এ সময় তার কাছ থেকে দুটি বার্মিজ চাকু ও দেশীয় অস্ত্র জব্দ করে। পরে তাকে ছাড়িয়ে নিতে মাঝিড়া নুরুজ্জামানসহ ৩০ থেকে ৪০ জন নেতা-কর্মী রাত ১০টায় শাজাহানপুর থানায় ঢুকে তাণ্ডব চালায়।
খবর পেয়ে শাজাহানপুর থানার ওসি শহিদুল ইসলাম থানায় এলে নুরুজ্জামান ও তার বাহিনী বাদা দেয়। সে সময় ওসিকে ধাক্কা দিয়ে ফেলে দেন নুরুজ্জামান এবং তার সঙ্গীরাও অন্য পুলিশ সদস্যদের উপর অতর্কিত হামলা চালায়।
এর কিছু সময় পরে নুরুজ্জামান লোকজন নিয়ে মাঝিড়া বটতলা এলাকায় সংঘবদ্ধ হয়ে আবারও আক্রমণ করার চেষ্টা করলে পুলিশ নুরুজ্জামানসহ ৯ জনকে আটক করে।
এ ঘটনায় নূরুজ্জামানের বাসা থেকে ৭ রাউন্ড গুলিসহ একটি বিদেশি পিস্তল ও সাংগঠনিক সম্পাদক নাজমুল হাসনের বাসা থেকে ৩ বোতল ফেনসিডিলসহ একটি বিদেশি পিস্তল জব্দ করে পুলিশ।
শাজাহানপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শহিদুল ইসলাম বলেন, সন্ত্রাসী কায়দায় থানায় ঢুকে পুলিশকে আহত করে আসামি ছিনতাইয়ের চেষ্টায় নুরুজ্জামানসহ আরও ৯ জনকে আটক করা হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, পুলিশের উপর হামলা, অবৈধ অস্ত্র-মাদক জব্দ, পুলিশের কাজে বাধা দেওয়ার ঘটনায় পৃথক কয়েকটি মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।
আরও পড়ুন: শেরপুরে ১৫ বছর পালিয়ে থাকার পর মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি গ্রেপ্তার
শরীয়তপুর স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণের প্রধান আসামি ইউপি সদস্য গ্রেপ্তার