শুক্রবার সকালে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে কুমিল্লা থেকে ঢাকাগামী একটি যাত্রীবাহী বাসের ধাক্কায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহতরা হলেন চাঁদপুরের কচুয়া থানার আলী মিয়ার ছেলে ইসমাইল হোসেন (৩৫) ও একই এলাকার মুসলিম মোল্লার ছেলে আবুল কালাম মোল্লা (২৬)।
আরও পড়ুন: তিন জেলায় সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ৫
বন্ধুর জন্য মোটরসাইকেল কিনে ফেরার পথে দুর্ঘটনায় পুলিশ সদস্য নিহত
আহত ব্যক্তির নাম বেলাল (২৫)। তিনি নারায়ণগঞ্জের আড়াইহাজার উপজেলার বাসিন্দা।
গজারিয়া ভবেরচর হাইওয়ে পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ মো. সালাহ উদ্দিন বলেন, ‘সকালে জামালদি বাসস্ট্যান্ড এলাকায় বাসের জন্য অপেক্ষায় থাকা তিনজনকে কুমিল্লা থেকে ঢাকাগামী একটি বাস ধাক্কা দিলে ঘটনাস্থলে দুজনের মৃত্যু হয়। এ সময় আহত হয় একজন। তাৎক্ষণিকভাবে খবর পেয়ে বাসটিকে আটক করার চেষ্টা করা হলেও তা সম্ভব হয়নি। ঘন কুয়াশার কারণে দুর্ঘটনাটি ঘটতে পারে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে।’
সালাহ উদ্দিন জানান, দুজনের লাশ ভবেরচর ফাঁড়িতে রয়েছে। আহত বেলালকে স্থানীয় একটি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে।
আরও পড়ুন: নারায়ণগঞ্জে সড়ক দুর্ঘটনায় পুলিশ কনস্টেবল নিহত
নিহত ইসমাইলের ভাই সুমন মিয়া জানান, হতাহতরা সবাই খাবার হোটেলের ব্যবসায়ী। আজ ভোরে হোটেলের মালামাল কিনতে তারা ঢাকার যাত্রাবাড়ীর আড়তে যাচ্ছিলেন। এ জন্য তারা জামালদি বাসস্ট্যান্ড এলাকায় বাসের জন্য অপেক্ষায় ছিলেন। এ সময় কুমিল্লা থেকে ঢাকাগামী যাত্রীবাহী বাসটিকে থামার জন্য সংকেত দিলে গাড়িটি তা অমান্য করে তাদের ধাক্কা দিয়ে চলে যায়। এতে এই দুর্ঘটনা ঘটে।
সার্বিক চিত্র:
দেশে ২০২০ সালে চার হাজার ৭৩৫টি সড়ক দুর্ঘটনায় পাঁচ হাজার ৪৩১ জন নিহত এবং সাত হাজার ৩৭৯ জন আহত হয়েছেন।
সড়ক দুর্ঘটনা নিয়ে রোডটি সেফটি ফাউন্ডেশনের তৈরি করা বার্ষিক প্রতিবেদন-২০২০ অনুযায়ী, নিহতদের মধ্যে আছেন ৮৭১ জন নারী ও ৬৪৯টি শিশু।
আরও পড়ুন: কুমিল্লায় মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় মাদরাসা শিক্ষক নিহত
হবিগঞ্জে সড়ক দুর্ঘটনায় চিকিৎসকসহ নিহত ২
প্রতিবেদনে বলা হয়, মোট মারা যাওয়াদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি এক হাজার ৫১২ জন ছিলেন পথচারী। সেই সাথে এক হাজার ৪৬৩ জন মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় প্রাণ হারিয়েছেন। গাড়ির চালক ও তাদের সহকারী নিহত হয়েছেন ৬৮৩ জন।
বিভিন্ন গণমাধ্যমের আসা সংবাদের ভিত্তিতে তৈরি করা প্রতিবেদনটিতে দেখা যায়, আগের বছরের তুলনায় ২০২০ সালে সড়ক দুর্ঘটনা বেড়েছে শূন্য দশমিক ৮৯ শতাংশ। নিহত ও আহতের ক্ষেত্রে এ বৃদ্ধির হার যথাক্রমে চার দশমিক ২২ শতাংশ এবং তিন দশমিক ৮৮ শতাংশ।
মহামারি করোনাভাইরাস রোধে গত বছরের বড় একটি সময় চলাচলে বিধিনিষেধ আরোপ করা সত্ত্বেও দুর্ঘটনার এ প্রবণতায় লাগাম টেনে ধরা যায়নি।