ফেনীর দাগনভূঞায় দাফনের ১২ দিন পর কবর থেকে আবদুল গফুর মিয়া নামে এক ব্যক্তির লাশ উত্তোলন করেছে পুলিশ।
পরে লাশ ময়নাতদন্তের জন্য ফেনী জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
আরও পড়ুন: ময়নাতদন্তের জন্য কুয়েট শিক্ষকের লাশ উত্তোলন
বুধবার (১২ জুন) জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আবদুর রহমানের উপস্থিতিতে লাশটি উত্তোলন করা হয়।
এর আগে মঙ্গলবার জেলার গফুর মামলার তদন্ত কর্মকর্তা দাগনভূঞা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) (তদন্ত) রাসেল মিয়ার আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে লাশটি উত্তোলনের নির্দেশ দেন দাগনভূঞা আমলি আদালত।
জানা যায়, গত ২৯ মে জেলার দাগনভূঞা পৌর শহরের হাসপাতাল রোডের অভিরামপুর এলাকায় ছয় তলা একটি ভবন দখল করতে তাণ্ডব চালায় স্থানীয় সন্ত্রাসীরা। ওই সময় হামলাকারীরা ভবনটির বিদ্যুৎ, পানি ও গ্যসের লাইন কেটে দেয়। এতে আহত মালিক আবদুল গফুর ভূঞা গত ১ জুন মারা যাওয়ার পর ঘটনাটি নিয়ে আলোচনা-সমালোচনার ঝড় উঠে।
গত ৪ জুন নিহতের ছেলে রিয়াদ হোসেন একই উপজেলার রাজাপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান জয়নাল আবেদীন মামুনসহ সাতজনের নাম উল্লেখ করে ফেনীর জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটের দাগনভূঞা আমলি আদালতে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। দাগনভূঞা আমলি আদালতের বিচারক ফারহানা লোকমান মামলাটি নিয়মিত মামলা হিসেবে রুজু করে আসামিদের গ্রেপ্তারের জন্য দাগনভূঞা থানার ওসিকে নির্দেশ দেন।
দাগনভূঞা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবুল হাসিম বলেন, আদালতের নির্দেশে হত্যা মামলা এফআইআর করা হয়েছে। মামলা হওয়ার পর থেকে আসামিরা পলাতক রয়েছে।
তিনি আরও বলেন, বুধবার আদালতের নির্দেশে লাশ উত্তোলন করে ময়নাতদন্তের জন্য ফেনী জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
এসময় উপস্থিত ছিলেন, দাগনভূঞা থানার ওসি আবুল হাশিম, উপজেলা মেডিকেল অফিসার ডা. আসিফ ইনতেছার, মামলার তদন্ত কর্মকর্তা রাসেল মিয়া, নিহত গফুরের ছেলে লিয়াকত হোসেন রাজু, রাকিব হোসেন ও রিয়াদ হোসেনসহ বিপুল সংখ্যক এলাকাবাসী।
আরও পড়ুন: রংপুরে দাফনের সাড়ে ৬ মাস পর কবর থেকে তরুণীর লাশ উত্তোলন