দাফনের ১৪ দিন পর খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুয়েট) শিক্ষক ড. মো. সেলিম হোসেনের লাশ ময়নাতদন্তের জন্য কবর থেকে তোলা হয়েছে। বুধবার সকালে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও থানা পুলিশের উপস্থিতিতে জেলার কুমারখালীর বাঁশগ্রাম কবরস্থান থেকে লাশ তোলা হয়।
লাশ উত্তোলনের পর পরই ময়নাতদন্তের জন্য পুলিশ পাহারায় কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালের উদ্দেশ্যে পাঠানো হয়েছে।
প্রসঙ্গত, গত ৩০ নভেম্বর কুয়েট ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক সাদমান নাহিয়ান সেজানের নেতৃত্বে একদল শিক্ষার্থী অধ্যাপক সেলিমের সঙ্গে দেখা করেন। এরপর ওই শিক্ষক বাসায় ফিরে মারা যান।
আরও পড়ুন: শিক্ষকের মৃত্যু: কুয়েটের ৯ শিক্ষার্থী বহিষ্কার
অভিযোগ উঠেছে, সেজানসহ ওই শিক্ষার্থীরা অধ্যাপক সেলিমকে লাঞ্ছিত করেছিলেন, যা তাকে মৃত্যুর দিকে ঠেলে দেয়। পরদিন ১ ডিসেম্বর বুধবার অধ্যাপক সেলিমকে তার গ্রামের বাড়ি কুষ্টিয়ার কুমারখালীর বাঁশগ্রামে দাফন করা হয়।
এ ঘটনায় খুলনার খানজাহান আলী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি ) প্রবীর কুমার বিশ্বাস অধ্যাপকের লাশ কবর থেকে উত্তোলন করে ময়নাতদন্তেরর জন্য গত ৫ ডিসেম্বর দুপুরে খুলনার মুখ্য মহানগর হাকিম আদালতে আবেদন জানান।
খুলনার জেলা ম্যাজিস্ট্রেট আবেদনটি কুষ্টিয়ার জেলা ম্যাজিস্ট্রেটের কাছে পাঠানোর পরিপ্রেক্ষিতে ড. সেলিম হোসেনের লাশ ময়নাতদন্তের জন্য কবর থেকে উত্তোলণের নির্দেশ দেয়া হয়।
আরও পড়ুন: শিক্ষক সেলিমের মৃত্যুকে ভিন্ন খাতে প্রবাহের চেষ্টা চলছে, অভিযোগ কুয়েট ছাত্রলীগের