পদ্মার পানি রাজবাড়ীর গোয়ালন্দ পয়েন্টে গত ২৪ ঘণ্টায় আরও ১৫ সেন্টিমিটার বৃদ্ধি পেয়েছে। বর্তমানে পানি বিপদ সীমার ১৫ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। পানি বৃদ্ধির কারণে দৌলতদিয়ার চারটি ফেরি ঘাট দিয়ে ফেরিতে যানবাহন উঠানামা ব্যাহত হয়।
পানি উন্নয়ন বোর্ডের গোয়ালন্দ কার্যালয় জানায়, মঙ্গলবার ভোর ৬টা থেকে বুধবার ভোর ৬টা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টার ভাগ্যকূল গোয়ালন্দ পয়েন্টে পদ্মা নদীতে পানি ১৫ সেন্টিমিটার বৃদ্ধি পেয়েছে। বর্তমানে গোয়ালন্দ পয়েন্টে পানির লেভেল দাড়িয়েছে ৮.৮০ মিটার।
আরও পড়ুনঃ পদ্মা সেতুর পিলারে আবারও ধাক্কা, ফেরিতে ফাটল
এদিকে বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন করপোরেশন (বিআইডব্লিউটিসি) দৌলতদিয়া কার্যালয় জানায়, পদ্মা নদীতে দ্রুত গতিতে পানি বাড়ায় অধিকাংশ ঘাট দিয়ে ফেরিতে যানবাহন উঠানামা করতে পারছে না। দৌলতদিয়ার পাঁচটি ঘাটের মধ্যে কয়েকদিন ধরে ৪ নম্বর ফেরি ঘাটের সামনে তীব্র স্রোতের কারণে সহজে ফেরি ভিড়তে পারছে না।
গত তিন দিনে ওই ঘাটে কোন ফেরি ভিড়তে পারেনি। বাকি ৫, ৬ ও ৭ নম্বর ঘাটের কিছু পাশ পানিতে তলিয়ে যাওয়ায় ঘাট তিনটি দিয়ে মঙ্গলবার বিকেল থেকে ফেরিতে গাড়ি ওঠানামা সমস্যা হচ্ছিল। রাতের মধ্যে পানি আরও বেশি বাড়ায় ফেরিতে গাড়ি ওঠানামা বন্ধ হয়ে যায়। পরে ঘাট কর্তৃপক্ষ বুধবার সকাল ৯টা থেকে ঘাটটি বন্ধ রেখে বেলা সাড়ে ১১টা পর্যন্ত হাইওয়াটারে স্থানান্তর করে ঘাটটি চালু করে।
আরও পড়ুনঃ জামালপুরের কালিতলা নৌরুটে ফেরি সার্ভিস শুরু
সংস্থাটি আরও জানায়, বুধবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে ৫নম্বর ঘাট চালু করার পর ৬নম্বর ঘাটের স্থানান্তর কাজ করে। দফায় দফায় তিনটি ঘাট প্রায় ৪ ঘন্টার মতো বন্ধ থাকে। এসব কারণে দৌলতদিয়া প্রান্তে যানবাহন আটকে যানজট তৈরী হয়।
বিআইডব্লিউটিসি দৌলতদিয়া কার্যালয়ের ব্যবস্থাপক জামাল হোসেন বলেন, পদ্মায় অস্বাভাবিকভাবে পানি বাড়ছে। এতে ফেরি চলাচল মারাত্মকভাবে ব্যাহত হচ্ছে। এছাড়া পানি বাড়ার সাথে তীব্র স্রোত থাকায় প্রায় এক সপ্তাহ ধরে ৪নম্বর ঘাটে ফেরি ভিড়তে অনেক বেগ পোহাতে হয়। গত তিন দিন ধরে তো ফেরি ভিড়তেই পারছে না। এছাড়া ৫নম্বর ঘাটের কিছু অংশ তলিয়ে যাওয়ায় বুধবার দুই ঘন্টার মতো ঘাট বন্ধ রেখে হাই ওয়াটারে স্থানান্তর করা হয়। একইভাবে ৬ ও ৭ নম্বর ঘাটও প্রায় ঘন্টা খানেক করে বন্ধ রেখে স্থানান্তরের কাজ করা হয়।
আরও পড়ুনঃ পদ্মা সেতুর পিলারে ফেরির ধাক্কা, আহত ২০
বাংলাবাজার ও শিমুলিয়া নৌপথে রো রো ফেরি বন্ধ থাকায় ভারী যানবাহন পারাপারও বন্ধ রয়েছে। ফলে ওই রুটের সকল পণ্যবাহী গাড়ি এই রুট ব্যবহার করছে। এতেও নিয়মিত গাড়ির সাথে বাড়তি গাড়ি যোগ হওয়ায় চাপ পড়ছে বেশি।