নরসিংদী পলাশ উপজেলার জনতা জুটমিলের শ্রমিকদের ভাঙচুর ও লুটপাটের জেরে অনির্দিষ্টকালের জন্য মিলটি বন্ধ ঘোষণা করেছে কর্তৃপক্ষ।
শনিবার (৭ সেপ্টেম্বর) সকালে মাইকিংয়ের মাধ্যমে ও প্রধান ফটকে নোটিশ টানিয়ে শ্রমিকদের জানানো হয়।
জনতা জুটমিলে প্রায় ৭ হাজার শ্রমিক কর্মরত ছিলেন। পুনরায় চালু করার সুনির্দিষ্ট তারিখ না থাকায় শ্রমিকদের মধ্যে অসন্তোষ দেখা দিয়েছে।
আরও পড়ুন: সরকারি কর্মকর্তাদের নিয়মবহির্ভূত গাড়ি ব্যবহার কঠোরভাবে বন্ধের নির্দেশ
এদিকে জনতা জুটমিল বন্ধ ঘোষণার পরে মিলটির কলোনি ছাড়তে বাধ্য হচ্ছেন বসবাসরত হাজার হাজার শ্রমিক।
জনতা জুট মিলস লিমিটেডের পক্ষে জেনারেল ম্যানেজার মো. মতিউর রহমান স্বাক্ষরিত অফিস আদেশে বলা হয়, জনতা জুটমিলস লিমিটেডে গত ৩ সেপ্টেম্বর থেকে ৬ সেপ্টেম্বর মধ্যবর্তী বিভিন্ন সময়ে কিছু সংখ্যক দুষ্কৃতকারী প্রতিষ্ঠানের অভ্যন্তরে দাঙ্গা হাঙ্গামা, বেআইনি ভয়ভীতি প্রদর্শন ও ভাঙচুরে লিপ্ত হয়। এ অবস্থায় প্রতিষ্ঠানের স্বাভাবিক উৎপাদন কার্যক্রম পরিচালনা অসম্ভব হয়ে পড়ায় কর্তৃপক্ষ বাংলাদেশ শ্রম আইন ২০০৬ এর ধারা ১২ (১) অনুযায়ী প্রতিষ্ঠানের সব কার্যক্রম ৭ সেপ্টেম্বর এ শিফট থেকে সম্পূর্ণভাবে বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়েছে। বন্ধকালীন দীর্ঘসূত্রিতার পরিপ্রেক্ষিতে শ্রম আইন এবং শ্রম বিধিমালা অনুযায়ী উপযুক্ত শ্রমিকরা ধারা ১২ (৬), ১২ (৭) বা ১২ (৮) অনুসারে মজুরি পাবেন। পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত শ্রমিকদের জনতা জুটমিলস লিমিটেডের কর্মক্ষেত্র থেকে বিরত থাকার নির্দেশ প্রদান করা হলো।
জেনারেল ম্যানেজার বলেন, কর্তৃপক্ষের সিদ্ধান্তে মিলটি অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ করা হয়েছে। পরবর্তী নির্দেশ না পাওয়া পর্যন্ত উৎপাদন বন্ধ থাকবে।
উল্লেখ্য, গত বৃহস্পতিবার রাতে আকিজ-বশির গ্রুপের মালিকানাধীন জনতা জুটমিলস লিমিটেডের ১৪ দফা দাবি আদায়কে কেন্দ্র হামলা চালায়।
হামলায় মিলের প্রশাসনিক ভবন, লেবার অফিস, নিরাপত্তা অফিস, গেস্ট হাউজসহ বিভিন্ন অফিস কক্ষে ব্যাপক ভাঙচুর ও লুটপাট করা হয়।
এসময় বাধা দিতে গিয়ে মিলের ৬ নিরাপত্তাকর্মী আহত হয়। খবর পেয়ে র্যাব, পুলিশ ও সেনাবাহিনীর সদস্যরা গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
এদিকে মিলের নিরাপত্তায় পুলিশ মোতায়েন রয়েছে।
আরও পড়ুন: বেতন সমস্যা সমাধান চেষ্টার মধ্যেই শনিবার আশুলিয়ায় ৪৫টি কারখানা বন্ধ