নারায়ণগঞ্জের বন্দর উপজেলায় স্ত্রী শান্তা আক্তারকে হত্যার দায়ে স্বামী ও স্কুলশিক্ষক আমিরুল ইসলাম ওরফে বাবুকে (৩৫) মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আদালত।
বুধবার (২৩ জুলাই) দুপুরে জেলা ও দায়রা জজ মো. আবু শামীম আজাদ এ রায় ঘোষণা করেন। এ সময় দণ্ডপ্রাপ্ত আসামি আদালতে উপস্থিত ছিলেন।
মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আমিরুল ইসলাম নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁ উপজেলার বারুদী এলাকার মৃত রফিকুল ইসলামের ছেলে এবং বন্দর গার্লস স্কুলের শিক্ষক ছিলেন।
কোর্ট পুলিশের পরিদর্শক মো. কাইউম খান রায়ের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, ২০১৭ সালে আমিরুল ইসলামের সঙ্গে শান্তা আক্তারের বিয়ে হয়। পারিবারিক কলহের জেরে ২০১৯ সালে তাদের বিচ্ছেদ ঘটে। এরপর শান্তা আরও একটি বিয়ে করে সাত মাস সংসার করেন। পরে আমিরুল ইসলাম তাকে ফুসলিয়ে পুনরায় বিয়ে করেন। বিয়ের পর তারা বন্দরের রাজবাড়ি এলাকার সুলতান মিয়ার বাড়িতে ভাড়া বাসায় বসবাস শুরু করেন।
বিয়ের মাত্র দুই মাস ৬ দিনের মাথায় স্ত্রী শান্তাকে হত্যা করেন আমিরুল ইসলাম।
আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর অ্যাডভোকেট আবুল কালাম আজাদ জাকির বলেন, ‘আসামি আদালতে স্বীকারোক্তিতে বলেছেন, পারিবারিক অশান্তির কারণে স্ত্রী শান্তাকে শিলপাটা দিয়ে আঘাত করে মাথা থেঁতলে হত্যা করেছেন। এরপর মাছ কাটার বঁটি দিয়ে শরীরের কয়েক জায়গায় চামড়া ছিলে তাতে লবণ লাগিয়ে দেন। এ ঘটনায় শান্তার বাবা মামলা করেন। সেই মামলার বিচার কার্যক্রম শেষে এ রায় ঘোষণা করেছেন।’