‘মা তুমি কোথায়? ফিরে এসো মা, ফিরে এসো। হে আল্লাহ তুমি মায়ের সন্ধান মিলিয়ে দাও।’ এভাবেই আকুতি জানিয়ে বারবার কান্নায় ভেঙে পড়ছে নিখোঁজ রহিমা বেগমের (৫২) ছয় সন্তান। তারা মাকে খুঁজে বেড়াচ্ছেন সাতদিন ধরে।
তাদের সাথে কথা বলে জানা যায়, ২৭ আগস্ট রাত পৌনে ১১টার দিকে খুলনা মহানগরীর মহেশ্বরপাশা খানাবাড়ির নিজ বাড়ি থেকে টিউবওয়েলে পানি আনতে গিয়ে নিখোঁজ হয় রহিমা। পরে নিকটাত্মীয়সহ বিভিন্ন স্থানে খোঁজখবর নিয়েও মায়ের খোঁজ পাচ্ছেন না সন্তানরা। থানায় মামলা ও সাংবাদিক সম্মেলনও করেছেন তারা। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর দ্বারে দ্বারে ঘুরছে নিয়মিত।
নিখোঁজ রহিমা নগরীর দৌলতপুর থানার উত্তর বণিকপাড়ার বাসিন্দা আব্দুল মান্নান হাওলাদারের স্ত্রী।
রহিমা খাতুনের সন্তানরা বলেন, গত শনিবার রাতে আকস্মিকভাবে মা নিখোঁজ হয়। বাড়ির নিচতলায় পানির পাত্র, পায়ের জুতা, ওড়না সব কিছু পড়ে ছিল কিন্তু মাকে পাওয়া যাচ্ছে না।
আরও পড়ুন: খুলনায় ৫৫ বছর বয়সী এক নারী নিখোঁজ
পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, জমিজমা নিয়ে প্রতিবেশীদের সাথে বিরোধ ও আদালতে মামলা রয়েছে। কয়েক দিন আগে প্রতিবেশীরা বাড়িতে হামলা চালায়। এ ঘটনার ভিডিও করলে সন্ত্রাসীরা বোন ও মাকে মারধর করে। মাকে মেরে ফেলার হুমকিও দেয়া হয়। এ ঘটনায় তাদের মা বাদী হয়ে থানায় মামলা করেছিল। প্রতিনিয়ত সন্ত্রাসীরা অচেনা নম্বর থেকে ফোন দিয়ে হুমকি দিয়ে আসছিল।
নিখোঁজ রহিমা বেগমের একমাত্র ছেলে মোহাম্মদ এম এ সাদী বলেন, মা নিখোঁজের পর ওই রাতে দৌলতপুর থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করা হয়। পরদিন তার বোন আদুরি খাতুন বাদী হয়ে থানায় মামলা করে। এছাড়া বিষয়টি র্যাবকেও জানানো হয়েছে। সাতদিন হয়ে গেল মায়ের কোনো সন্ধান পাওয়া যায়নি।
তিনি আরও বলেন, ‘আমার ছোট বোন রাস্তায় রাস্তায় পোস্টার লাগাচ্ছে মাকে খুঁজে পেতে। মাকে ফিরে পেতে সকলের সহযোগিতা কামনা করছি।’
এদিকে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা বলছেন, বিষয়টি গুরুত্বের সাথে দেখা হচ্ছে এবং বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালানো হচ্ছে।
আরও পড়ুন: ঋণের টাকা আনতে গিয়ে খুলনায় নারী নিখোঁজ