উপজেলার কালিকাপুর গ্রামের সুশীল চন্দ্র রায়ের বাড়ি থেকে শুক্রবার বিকালে তাকে আটক করে স্থানীয়রা। পরে রাতে ওই ছাত্রীর বাবা অভিযুক্ত আইনজীবীকে প্রধান আসামি এবং ধর্ষণে সহায়তাকারী হিসেবে সুশীল চন্দ্র ও তার স্ত্রীকে আসামি করে আটোয়ারী থানায় মামলা করেন।
অভিযুক্ত এইচএম হাবিবুর রহমান হাবিব উপজেলার বারাগাঁও গ্রামের আব্দুল খালেকের ছেলে ও পঞ্চগড় জেলা আইনজীবী সমিতির সদস্য।
ওই ছাত্রীর মা জানান, হাবিবের কাছ থেকে ১৫ হাজার টাকা সুদে ধার নেন তারা। ‘এ সূত্র ধরেই আমার মেয়ের সাথে হাবিবের পরিচয়। হাবিব প্রায়ই আমার মেয়েকে ফোনে উত্যক্ত করত। দু-একবার বাসাতেও এসেছিল।’
মামলার বিবরণ অনুযায়ী, শুক্রবার সকালে বাবার সাথে দেখা করিয়ে দেয়ার কথা বলে ওই ছাত্রীকে তার মাসির বাড়ি থেকে নিয়ে সুশীল চন্দ্রের বাড়িতে যায় হাবিব। সেখানে তিনি ওই ছাত্রীকে ধর্ষণ করেন। পরে স্থানীয়রা ওই ছাত্রীকে উদ্ধার করে প্রথমে আটোয়ারী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে এবং পরে পঞ্চগড় আধুনিক সদর হাসপাতালে ভর্তি করে।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই রাশেদুজ্জামান বলেন, ‘স্থানীয়রা হাবিবকে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করে। শুক্রবার রাতে তার বিরুদ্ধে মামলা হলে তাকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়।’
আটোয়ারী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ইজারউদ্দিন জানান, আইনজীবী হাবিবসহ তিনজনের বিরুদ্ধে অপহরণের পর ধর্ষণের অভিযোগে মামলা দায়ের করা হয়েছে। ওই ছাত্রী পুলিশের প্রহরায় চিকিৎসাধীন রয়েছে। অন্য আসামিদের গ্রেপ্তারে চেষ্টা চলছে।