মুন্সীগঞ্জ, ১২ আগস্ট (ইউএনবি)- নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেন, পদ্মা সেতুতে ফেরি বার বার ধাক্কা দিচ্ছে। এই জায়গাটিতে আমরা বিব্রত বোধ করছি। এ ব্যাপারে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। আমাদের কিছু নির্দেশনা ছিল। এই নির্দেশনা পালনের ক্ষেত্রে আমরা কিছু উদাসীনতা লক্ষ্য করেছি। এগুলো কেন হচ্ছে, এ বিষয়ে শুক্রবার সন্ধ্যায় উচ্চ পর্যায়ে দায়িত্বশীলদের নিয়ে আমরা একটা সভা করবো। সেই সভাতেই পরবর্তী সিদ্ধান্ত জানা যাবে।
শুক্রবার সকালে মুন্সীগঞ্জের শিমুলিয়া ঘাট এবং পদ্মা সেতু ও পদ্মা সেতুর ১০ নম্বর খুঁটি পরিদর্শন শেষে প্রতিমন্ত্রী এসব কথা বলেন। পরে মন্ত্রী মাঝিকান্দিতে ঘাট স্থানান্তরের জায়গাটিও পরিদর্শন করেন। এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ পরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআইডব্লিউটিএ) এর চেয়ারম্যান কমডোর গোলাম সাদেক, মুন্সীগঞ্জের ডিসি কাজী গোলাম রসুলসহ ঊর্ধতন কর্মকর্তারা।
মন্ত্রী বলেন ‘মাঝিকান্দি আমরা পরিদর্শন করেছি। কারণ পদ্মা সেতু পুরোপুরি চালু হওয়ার পর বাংলাবাজার ঘাটটি আর ব্যবহার করা যাবে না। সেতুর সার্বিক নিরাপত্তার কারণে। সে ক্ষেত্রে মাঝিকান্দি আমরা ফেরি ঘাট হিসেবে ব্যবহার করতে চাই। আজকে সেটার প্রাথমিক পরিদর্শন করেছি। এই বিষয়ে আজকের সন্ধ্যার সভায় বিস্তারিত আলোচনা হবে। সেখান থেকে পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেয়া হবে।
আরও পড়ুন: পদ্মা সেতুর পিলারে আবারও ধাক্কা, ফেরিতে ফাটল
খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেন, এই রুটটিতে এখন যে গতিশীলতা এসেছে তা বর্তমান সরকারের ১২ বছরের কার্যক্রমের ফলাফল। এখন এই রুট দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া রুটের চেয়েও গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছে। এই নৌরুট একসময় গুরুত্বপূর্ণ ছিল না। কারণ যাতায়াতে সময় লাগতো আড়াই থেকে তিন ঘন্টা । বিআইডব্লিউটিএ ও বিঅইডব্লিউটিসির সক্ষমতা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বৃদ্ধি হওয়ার কারণেই এই নৌরুট এখন অনেক জনপ্রিয় হয়ে গেছে। এক্সপ্রেসওয়ে রোডগুলো আমরা বিশ্বমানের করে ফেলেছি ইতোমধ্যে। আগে যে এই রুটটি চলাচলের জন্য খুব বেশি যে ব্যবহার হতো তা না। এখন যেহেতু এই রুটটি জনপ্রিয়তা পেয়েছে, তার চেয়েও বড় কথা আমাদের পদ্মা সেতুর নিরাপত্তা। আমরা বাংলাদেশের মানুষ অনেক চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে পদ্মা সেতু আজকে বাস্তবতার রূপ নিয়েছে এবং উদ্বোধনের অপেক্ষায় আছে।
আগামী বছর পদ্মা সেতু যানবাহন চলাচলের জন্য খুলে দেয়া হবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করে মন্ত্রী বলেন, কাজেই পদ্মা সেতুর কোন জায়গায় আঘাত আসলে বাংলাদেশের মানুষের হৃদয়ে আঘাত লাগে। যদিও এই ধরনের আঘাতে পদ্মা সেতুর নূন্যতম কোন ক্ষতি হওয়ার সম্ভাবনা নেই তারপরও এটা আমাদের হৃদয়ে আঘাত করে। এটা কোনভাবেই মেনে নেয়া হবে না।
মন্ত্রী আরও বলেন, ফেরিগুলোর গায়ে রাবার বসানোর অর্ডার দেয়া হয়েছে। এই ঘটনা যেন আর না ঘটে সে ব্যাপারে আজকে সন্ধ্যায় একটি সভা আছে। সেখান থেকে পরবর্তী সিদ্ধান্ত দেয়া হবে।
আরও পড়ুন: পদ্মা সেতুর পিলারে ফেরির ধাক্কা, আহত ২০
পদ্মা সেতুর চীনা প্রকৌশলী নিখোঁজ, তল্লাশি চলছে নদীতে