পদ্মা সেতুর খুঁটিতে বার বার আঘাতরোধে ১২ থেকে ১৩ স্প্যান হতে সরাসরি ৩ কিলোমিটার উজানে (পশ্চিমে) রবিবার দুপুরে কর্তৃপক্ষের বয়টেন্ডার ভেসেল নিহারিকার মাধ্যমে একটি লাল লাইটেড বয়া স্থাপন করা হয়েছে।
পদ্মা সেতুর পিলারসমূহকে শিমুলিয়া-বাংলাবাজার নৌ-পথে চলাচলকারী ফেরি থেকে আঘাত হতে রক্ষায় করণীয় নির্ধারণে রবিবার মাওয়াস্থ বিআইডব্লিউটিএ রেস্টহাউজে এক বিশেষ সভার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী এই বয়া স্থাপন করা হয়।
আরও পড়ুনঃ পদ্মা সেতুর পিলারে ধাক্কা ষড়যন্ত্র কি না তদন্ত করতে হবে: সেতুমন্ত্রী
সভায় ফেরি পরিচালনাকারী বিআইডব্লিউটিসি ছাড়াও বিআইডব্লিউটিএ, সেনাবাহিনী ও পদ্মা সেতু কর্তৃপক্ষের দায়িত্বশীল কর্মকর্তারা অংশ নেন।
সভায় ফেরিসমূহকে হাজরা চ্যানেল থেকে প্রায় ১.৭ কিলোমিটার পশ্চিমে এবং সেতু থেকে প্রায় ৩ কিলোমিটার পশ্চিমে একটি লাইটেড বয়া স্থাপনের সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।
আরও পড়ুনঃ পদ্মা সেতুর পিলারে আবারও ধাক্কা, ফেরিতে ফাটল
নেভিগেশন স্পান বাছাইয়ের ক্ষেত্রে সেতুর প্রায় ১ কিলোমিটার আপে ডুবোচর থাকায় ৩ থেকে ৭ নং পিয়ার ব্যবহার করা ঝুঁকিপূর্ণ বিধায় সেগুলো বিবেচনা না করার পক্ষে মতামত দেয়া হয় সভায়। ৮ নম্বর পিলারের সোজা একটি স্টীল স্পাড থাকায় ঝুঁকি বিবেচনায় ৭-৮ এবং ৮-৯ পিলারসমূহ বিবেচনার বাইরে রাখা হয়। ১০ নং পিলারে ইতোপূর্বে দুইবার আঘাত লাগার প্রেক্ষিতে ঘটনার পুনরাবৃত্তি রোধে ৯-১০ এবং ১০-১১ স্প্যানও বিবেচনায় নেয়া হয়নি। ১১ থেকে ২২ নম্বর পিলারসমূহ মধ্যবর্তী স্থান নেভিগেশন যোগ্য। তবে দক্ষিণ দিকের (পিলারের নাম্বারিং বৃদ্ধির দিক) স্প্যান সমূহে স্রোতের তীব্রতা বেশি থাকায় আপাতত ১২-১৩ নম্বর স্প্যান দিয়ে আপ থেকে ডাউনে নৌ-চলাচলের সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়েছে। তবে অবস্থার প্রেক্ষিতে প্রয়োজন হলে নির্ধারিত স্প্যানের দুই পাশের স্পান সমূহ অর্থাৎ ১১ থেকে ১২ এবং ১৩ থেকে ১৪ ব্যবহার করা যাবে।
আরও পড়ুনঃ পদ্মা সেতুর পিলারে ফেরির ধাক্কা, আহত ২০
শিমুলিয়া থেকে বাংলাবাজারগামী ফেরীসমূহ স্রোতের প্রতিকূলে যাবে বিধায় সেগুলো নিয়ন্ত্রণহীন হওয়ার সম্ভাবনা কম থাকবে বিধায় তারা ৬-৭ নম্বর স্প্যান ব্যবহার করতে পারবেন তবে পরিস্থিতি অনুযায়ী দুইপাশের দুইটি স্প্যানও ব্যবহার করা যাবে।