যশোরের মনিরামপুর উপজেলায় এক নারী ও তার তিন বছরের শিশু কন্যার ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করেছে মনিরামপুর পুলিশ।
শনিবার বিকাল সাড়ে ৫টার দিকে উপজেলার কুলটিয়া গ্রামের ফাল্গুন মন্ডরের ভাড়া বাড়ি থেকে তাদের লাশ উদ্ধার করা হয়।
নিহতরা হলেন- মশিয়াহাটি ডিগ্রি কলেজের সমাজ বিজ্ঞানের প্রভাষক কনার মন্ডলের স্ত্রী পিয়া মন্ডল (২২)। তিনি পাঁচ মাসের অন্তঃসত্ত্বা ছিলেন এবং তাদের একমাত্র কন্যা কথা।
আরও পড়ুন: জয়পুরহাটে স্ত্রীকে ‘হত্যার’ পর স্বামীর আত্মহত্যার চেষ্টা
এঘনায় নিহত পিয়া মন্ডলের স্বামী কুলটিয়া ইউনিয়নের সুজাতপুর গ্রামের ননী গোপাল মন্ডলের ছেলে প্রভাষক কনার মন্ডলকে আটক করেছে পুলিশ।
কুলটিয়া ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য শেখর মন্ডল জানান, কনার মন্ডল স্ত্রী ও শিশু কন্যা নিয়ে কুলটিয়ার ওই ভাড়া বাড়িতে থাকতেন। শনিবার বিকাল সাড়ে ৫টার দিকে ওই বাড়ির রান্না ঘরের সিলিং ফ্যানের সাথে একই দড়িতে পিয়া মন্ডল ও শিশু কন্যা কথার ঝুলন্ত লাশ দেখতে পেয়ে মনিরামপুর থানায় খবর দেয় এলাকাবাসী। পরে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে লাশ দুটি উদ্ধার করে।
স্থানীয়দের বরাতে মনিরামপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রফিকুল ইসলাম বলেন, প্রভাষক কনার মন্ডলের অন্য একটি নারীর সাথে পরকীয়া রয়েছে বলে অভিযোগ আছে। এর জের ধরে বেশ কিছুদিন ধরে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে বিবাদ চলছিল। শনিবার দুপুরের কনার মন্ডল মাছ ধরতে যান। এসময় স্ত্রী পিয়া মন্ডল তার একমাত্র মেয়ে কথাকে হত্যার পর নিজেও রান্না ঘরের সিলিং ফ্যানের সাথে একই দড়িতে আত্মহত্যা করে।
আরও পড়ুন: লকডাউনে চাকরি হারিয়ে যুবকের আত্মহত্যা!
ওসি জানান, লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য যশোর জেনারেল হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে।