এনজিও ঋণ পরিশোধ ও পারিবারিক বিরোধের জেরে পিরোজপুর সদর উপজেলায় স্ত্রী তাহমিনা বেগমকে কুপিয়ে হত্যার অভিযোগ উঠেছে স্বামীর বিরুদ্ধে।
এই ঘটনা অভিযুক্ত স্বামীকে পুলিশ আটক করেছে বলে জানিয়েছেন পিরোজপুরের পুলিশ সুপার মোহাম্মদ সাঈদুর রহমান।
বৃহস্পতিবার রাতে কোন এক সময় পিরোজপুর সদর উপজেলার জুজখোলা গ্রামে এই ঘটনা ঘটে।
নিহত তাহমিনা বেগম (৪৫) ওই এলাকার সত্তার শেখের স্ত্রী।
আরও পড়ুন: নাটোরে মুক্তিযোদ্ধার স্ত্রীকে কুপিয়ে হত্যা, কিশোর আটক
আটক সত্তার শেখ (৫০) পিরোজপুর সদর উপজেলার শিকদারমল্লিক ইউনিয়নের জুজখোলা গ্রামের মৃত জোনাব আলী শেখের ছেলে।
নিহত তহমিনার ছেলে রবিউল ইসলাম জানান, তার বাবা তার মায়ের নামে স্থানীয় বিভিন্ন এনজিও ও ব্যক্তিদের কাছ থেকে প্রায় ছয় লাখ টাকা সুদে ঋণ নিয়ে ছিল। এই ঋণ পরিশোধ নিয়ে পরিবারে কলহ লেগেই থাকতো, তার বাবা সত্তার তার মা তাহমিনাকে মারধরও করতো। বৃহস্পতিবার তার বাবা তাদের একটি অটোরিকশা বিক্রিয় করার জন্য নিয়ে গেলে তার স্বজনরা বিক্রয় করেতে বাধা দেয়। এ ঘটনায় তার বাবা সত্তার তার মাকে সন্ধ্যা থেকেই নানা হুমকি দিয়ে আসছিলেন বলে রাতে তার মা তাদের জানিয়েছেন। রাত ১২টা পর্যন্ত তিনি মায়ের সাথে কথা বলে পরে পাশের ঘরে ঘুমাতে যান। সকালে তার বোন মাকে ডাকলে তিনি কোন সাড়া না দেয়ায় স্থানীয় লোকজনসহ ঘরের দরজা ভেঙে ঘরে ঢুকে তার মায়ের রক্তাক্ত লাশ খাটের উপর পড়ে থাকতে দেখেন। পরে স্থানীয় লোকজন থানায় খবর দেয়।
আরও পড়ুন: চাঁদপুরে স্ত্রীকে কুপিয়ে হত্যার পর স্বামীর আত্মহত্যা!
শিকদারমল্লিক ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান কামরুজ্জামান চাঁন জানান, এনজিও ঋণ পরিশোদের কিস্তি দেয়া নিয়ে বিভিন্ন সময় তাদের পরিবারের ঝগড়া হতো। মূলত ঋণের টাকা পরিশোধের সমস্যা নিয়েই এ হত্যাকাণ্ড ঘটতে পারে।
আরও পড়ুন: চাঁপাইনবাবগঞ্জে স্ত্রীকে কুপিয়ে হত্যা
পিরোজপুর সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আ জ মো. মাসুদুজ্জামান জানান, ঘটনার পরপরই কৌশলে অভিযুক্ত স্বামী সত্তার শেখেকে আটক করা হযেছে। লাশ উদ্ধার করে মর্গে পাঠানো হয়েছে এবং এ ঘটনায় মামলা দায়ের বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।