তারা হলেন- টিটু (২০), শিপন (২৫), রিপন (৪৫) ও গ্রাম পুলিশ সদস্য মালেক সর্দার (৫৫)।
গত ১১ জানুয়ারি উপজেলার ৪নং সুবিদপুর পশ্চিম ইউনিয়নের এ ঘটনায় মঙ্গলবার বিকালে ফরিদগঞ্জ থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে ভুক্তভোগীর মা মামলা দায়ের করেছেন।
আরও পড়ুন: এমসি কলেজে ধর্ষণ: ৮ আসামির বিচার শুরুর আদেশ
জানা গেছে, ঘটনার দিন বিকালে শ্রবণপ্রতিবন্ধী কিশোরী ওষুধ কেনার জন্য বাড়ি থেকে বের হয়। পথিমধ্যে একই এলাকার জামাল হোসেনের ছেলে ইজিবাইকচালক টিটু কৌশলে তার ইজিবাইকে তুলে নিয়ে কিশোরীকে পার্শ্ববর্তী একটি বাগানে নিয়ে ধর্ষণ করে।
এরপর তাকে ঘুরিয়ে ফিরিয়ে রাত হলে টিটু মালেক সর্দার (৫৫) নামে গ্রাম পুলিশের সদস্যের সহযোগিতায় আইটপাড়া গ্রামের আ. মান্নানের ছেলে সিএনজিচালক শিপন, একই গ্রামের মৃত আবু বকর সিদ্দিক প্রকাশ কালুর ছেলে সিএনজিচালক মিজানুর রহমান রিপনসহ ৬ জন মিলে সুবিদপুর পশ্চিম ইউনিয়ন পরিষদ ভবন চত্তরে নিয়ে পালাক্রমে ধর্ষণ করে।
আরও পড়ুন: ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় স্কুলছাত্রীকে ‘ধর্ষণ’: ওষুধ কোম্পানির প্রতিনিধি গ্রেপ্তার
বিয়ের আশ্বাসে প্রেমিকাকে ধর্ষণ, প্রেমিক গ্রেপ্তার
এরপর তৃতীয় দফায় একটি বাগানে নিয়ে রিপনসহ কয়েকজন যুবক পুনরায় কিশোরীটিকে ধর্ষণ করে সেখানে ফেলে রেখে পালিয়ে যায়। পরে স্থানীয়রা টের পেয়ে কিশোরীকে উদ্ধার করে তার বাড়িতে পৌঁছে দেয়। বাড়ি ফিরে কিশোরী পরিবারের লোকজনকে এ ঘটনা জানায়। এরপর স্থানীয়ভাবে বিষয়টি মীমাংসার চেষ্টা করে এলাকার কিছু প্রভাবশালীরা।
ধর্ষণের শিকার নারী-শিশুর পরিচয় প্রকাশে নিষেধাজ্ঞার বিধান বাস্তবায়নের দাবিতে রিট
ফরিদগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শহীদ হোসেন বলেন, ‘সোমবার রাতে ঘটনাটি শোনার পর অভিযান চালিয়ে অভিযুক্ত চারজনকে আটক করা হয়। বাকি দুজনকে আটকের চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে।’