আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে ফরিদপুরে আওয়ামী লীগ ও বিএনপির সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এ সময় ২০টি বাড়িতে হামলা, ভাঙচুর ও লুটপাটের ঘটনাও ঘটেছে। এতে আহত হয়েছেন অন্তত আটজন। আহতদের ৩ জনকে ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
সোমবার (৩ ফেব্রুয়ারি) সকাল সাড়ে ৮টা থেকে বেলা ১১টা পর্যন্ত সদর উপজেরার কানাইপুর ইউনিয়নের ফুসরা গ্রামে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে ফুসরা গ্রামে একটি পক্ষের নেতৃত্ব দেন আক্কাস মাতুব্বর। আক্কাস মাতুব্বর ৯ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি। অপর পক্ষের নেতৃত্ব দেন হাশেম খান। তিনি ৯ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি।
স্থানীয়রা জানায়, একটি পুকুরে মাছ ধরা নিয়ে আক্কাস ও হাশেমের সমর্থকদের মধ্যে কথা–কাটাকাটি হয়। এর জেরে হাশেমের সমর্থকেরা আক্কাসের বাড়িঘরসহ তার সমর্থকদের বাড়িঘরে হামলা করে ভাঙচুর করেন। এ সময় ১০ লাখ টাকার গরু-ছাগল লুটপাট হয়। পরে আক্কাসের সমর্থকেরা হাশেমের খানের বাড়িতে হামলা করে ভাঙচুর করেন।
আরও পড়ুন: ফরিদপুরে বিএনপির দুই গ্রুপে সংঘর্ষ, আহত ২২
পরে ফরিদপুর কোতোয়ালি থানার পুলিশ, সেনাসদস্য ও র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের (র্যাব) সদস্যরা ঘটনাস্থলে এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন।
কানাইপুর ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান বেলায়েত হোসেন জানান, আক্কাস ও হাশেমের মধ্যে এলাকার আধিপত্য বিস্তার নিয়ে আগে থেকেই বিরোধ চলে আসছিল। এর জেরে আবারও সংঘর্ষ হয়েছে।