ফরিদপুরের আলফাডাঙ্গার বুড়াইচ ইউনিয়নে সংরক্ষিত আসনের নারী ইউপি সদস্যকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। রবিবার রাতে এ ঘটনায় বোয়ালমারী থানায় মামলা করা হয়েছে।
এঘটনায় প্রধান অভিযুক্ত মাহাবুব আলমকে (৩০) আটক করেছে পুলিশ।
অভিযুক্ত মাহাবুব বোয়ালমারী পৌরসভার দক্ষিণ কামারগ্রামের আব্দুল হকের ছেলে এবং পেশায় মাইক্রোবাসের ড্রাইভার।
স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, ভুক্তভোগী ওই নারী ইউপি সদস্য শনিবার বিকালে পার্শ্ববর্তী বোয়ালমারী উপজেলায় পাত্রী দেখতে আসেন। পাত্রী দেখা শেষে সন্ধ্যার দিকে বাড়ি ফেরার পথে অমৃতনগর বটতলা নামক স্থানে আসলে তিনি রাস্তা হারিয়ে ফেলেন।
সে সময় ওই স্থানে বসে থাকা কয়েকজন যুবককে ভুক্তভোগী ওই নারী আলফাডাঙ্গা যাওয়ার পথ দেখিয়ে দিতে বলেন। পথ দেখানোর সুযোগে তারা ওই নারীকে একটি নির্জন স্থানে নিয়ে সংঘবদ্ধভাবে ধর্ষণ করে পালিয়ে যায়। পরে অসুস্থ অবস্থায় ওই নারী ঘটনাস্থল থেকে রাস্তায় এলে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে।
আরও পড়ুন: রংপুরে তরুণীকে ‘সংঘবদ্ধ ধর্ষণ’, ১৫ বছর পর ৩ জনের যাবজ্জীবন
পরে রবিবার সকালে থানায় গিয়ে বিষয়টি পুলিশকে অবহিত করেন ওই নারী। এরপর দুপুরের দিকে প্রধান অভিযুক্ত মাহাবুবকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
এ ব্যপারে বোয়ালমারী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুহাম্মদ আব্দুল ওহাব বলেন, ওই নারী ইউপি সদস্য বিষয়টি জানানোর সঙ্গে সঙ্গেই ঘটনার সঙ্গে জড়িত মূলহোতা মাহাবুব আলমকে আটক করা হয়েছে। এছাড়া অন্যদেরও গ্রেপ্তারের অভিযান চালানো হচ্ছে।
তিনি আরও বলেন, দুপুরে ওই নারী ইউপি সদস্যকে মেডিকেল পরীক্ষার জন্য ফরিদপুরের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। এ ঘটনায় ওই নারী ইউপি সদস্য বাদী হয়ে মামলা দায়ের করেছেন। প্রধান আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। অন্যদের গ্রেপ্তার অভিযান চলছে।
ফরিদপুরের সহকারী পুলিশ সুপার (মধুখালী-বোয়ালমারী-আলফাডাঙ্গা সার্কেল) সুমন কর বলেন, এ ঘটনায় বোয়ালমারী থানায় একটি মামলা হয়েছে। আমাদের অভিযান অব্যাহত আছে। আশা করছি খুব দ্রুত আমরা সব আসামিদের আইনের আওতায় আনতে পারবো।