মাদক মামলায় ঝিনাইদহ জেলার সাবেক ট্রাফিক ইন্সপেক্টর শেখ আজমকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডসহ পাঁচ হাজার টাকা জরিমানা এবং অনাদায়ে আরও তিন মাস বিনাশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।
সোমবার (৩ জুন) দুপুরে ফরিদপুরের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ দ্বিতীয় আদালতের বিচারক শিহাবুল ইসলাম এ রায় দেন।
আরও পড়ুন: ঝিনাইদহে ধর্ষণ মামলায় ইউপি চেয়ারম্যানের যাবজ্জীবন
রায় ঘোষণার সময় আসামি আদালতে উপস্থিত ছিলেন।
সাজাপ্রাপ্ত ট্রাফিক পুলিশ কর্মকর্তা শেখ আজম নড়াইল জেলার লোহাগড়া থানার পাচুরিয়া গ্রামের আলী আহমদ শেখের ছেলে। তিনি সিলেট জেলায় কর্মরত ছিলেন।
আদালতের সরকারি কৌসুলি (পিপি) ছানোয়ার হোসেন বলেন, ২০১৭ সালের ২৬ ডিসেম্বর মধুখালী থানার এসআই কামরুজ্জামান মোবাইল ফোনে খবর পান জেলার মধুখালী রেলগেট পশ্চিম পাশে ঢাকা খুলনা মহাসড়কে একটি মোটরসাইকেল দুর্ঘটনা হয়েছে।
ওই দুর্ঘটনার মো. মজিবর মোল্লা আহত হন। সে সময় মোটরসাইকেল আরোহী শেখ আজম দৌড়ে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করলে স্থানীয়রা তাকে আটক করে। পরে পুলিশ এসে মোটরসাইকেলের সঙ্গে লাগানো গোপন একটি বাক্স থেকে ৮২ বোতল ফেনসিডিল জব্দ করে এবং পুলিশ কর্মকর্তাকে গ্রেপ্তার করে মধুখালি থানায় মাদক আইনে মামলা করে পুলিশ।
আসামি চুয়াডাঙ্গা জেলা সীমান্ত থেকে রাজবাড়ী জেলা গোয়ালন্দ ঘাট এলাকা প্রায়ই যাতায়াত করত এবং মাদক পরিবহন ও ব্যবসায় করতো।
২০১৮ সালের ৭ মে মধুখালি থানার পুলিশ পরিদর্শক মো. মিজানুর রহমান আদালতে এ মামলার অভিযোগ পত্র জমা দেন।
মামলার দীর্ঘ শুনানি শেষে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনের ১৯(১) টেবিলের ৩(খ) ধারায় আদালত ওই পুলিশ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে সোমবার এ রায় ঘোষণা করেন।
এই ঘটনার সঙ্গে সম্পৃক্ততা না পাওয়ায় মোটরসাইকেল আরোহী অপর এক আসামি নুর আলমকে খালাস দেন আদালত।
আরও পড়ুন: জয়পুরহাটে হত্যা মামলায় বাবা-ছেলেসহ ১০ জনের যাবজ্জীবন