ফরিদপুর কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এম এ জলিলকে অবৈধ সম্পদ অর্জন ও পুলিশ স্কয়ার মার্কেট নির্মাণে অনিয়ম, দুর্নীতি ও অর্থ আত্মসাৎ ও সেবাগ্রহীতাদের সঙ্গে অসদাচরণের অভিযোগে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন।
বুধবার সকাল ১০টায় শহরের ঝিলটুলিস্থ ফরিদপুর দুর্নীতি দমন কমিশন(দুদক) সমন্বিত জেলা কার্যালয়ে তাকে তলব করে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়।
আরও পড়ুন: জিকে শামীমের বিষয়ে সাক্ষ্য দিতে ৩ জনকে দুদকে তলব
প্রায় আড়াইঘণ্টা তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করেন দুদকের উপ-পরিচালক।
ওসিকে জিজ্ঞাসাবাদের বিষয়টির সত্যতা নিশ্চিত করে দুদক, সমন্বিত জেলা কার্যালয় ফরিদপুরের উপ-পরিচালক রেজাউল করিম বলেন, ফরিদপুর কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা এম এ জলিলের বিরুদ্ধে কোতয়ালি থানা সংলগ্ন দক্ষিণ পাশের পুলিশ স্কয়ার মার্কেট নির্মাণের সময় দুর্নীতি, অর্থ আত্মসাৎ ও জালিয়াতির আশ্রয় ও তার ব্যক্তিগত অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগের বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করতে তাকে ডাকা হয়েছিল।
তিনি আরও বলেন, আমরা ওসির বিরুদ্ধে অভিযোগগুলো তদন্ত করে দেখছি। এজন্য তদন্তের সঙ্গে বিস্তারিত বলতে পারছি না। এছাড়াও ওসির বিরুদ্ধে সেবাগ্রহীতাদের সঙ্গে অসদাচরণ, থানায় ঘুষ গ্রহণসহ এ রকম অপরাধের সব রকম অভিযোগ আমাদের কাছে আছে। আমরা সব অভিযোগ তদন্ত করছি।
দুদকে তলবের বিষয়ে ফরিদপুর কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা এম এ জলিল সাংবাদিকদের তিনি তার বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগের বিষয়গুলো অস্বীকার করেন।
তিনি বলেন, পুলিশ স্কয়ার মার্কেটের বিষয়ে বেনামে চিঠির বিষয়ে আমাকে ডেকেছিল। অভিযোগের বিষয় ছিল- মার্কেট নিয়ে অনেক টাকা আত্মসাৎ হয়েছে কিন্তু মার্কেটতো সাবেক এসপি আলিমুজ্জামান স্যার থাকাকালীন হয়েছে এবং টাকার বিষয়ে ব্যাংকের মাধ্যমে লেনদেন হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, এখানে এক টাকাও এদিক-সেদিক হয়নি। সব টাকা ব্যাংকের মাধ্যমে লেনদেন হয়েছে। একজন বেনামে চিঠি দিতেই পারে। ব্যক্তিগত সম্পদ অর্জন বা তার বিরুদ্ধে আনীত অন্যান্য অভিযোগগুলো বিষয়ে কোনো মন্তব্য করেননি তিনি।