ফেনী-৩ আসনে ঈগল প্রতীকের স্বতন্ত্র প্রার্থী হাজী রহিম উল্ল্যাহর সঙ্গে প্রিসাইডিং কর্মকর্তার হাতাহাতির ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় পাঁচ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।
জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তা ওই কমিটিকে ঘটনাটি সরে জমিনে তদন্ত করে তিন কার্যদিবসের মধ্যে প্রতিবেদন দাখিল করতে অনুরোধ করেছেন।
আরও পড়ুন: ইবিতে আওয়ামীপন্থী শিক্ষকদের হাতাহাতি, শ্রদ্ধাঞ্জলি ভাংচুর
রবিবার (৭ জানুয়ারি) নির্বাচনি এলাকা সোনাগাজীর নবাবপুর ইউনিয়নের ভোরবাজার আইনজীবী বেলায়েত হোসেন উচ্চ বিদ্যালয় ভোট কেন্দ্রে এ ঘটনা ঘটে।
জানা যায়, ফেনীর সোনাগাজী উপজেলার ৯ নম্বর নবাবপুর ইউনিয়নের ভোরবাজার আইনজীবী বেলায়েত হোসেন উচ্চ বিদ্যালয়ে ভোটকেন্দ্রের প্রিজাইডিং অফিসার আমির হোসেনকে ডেকে বের করে এনে মারধর করেন। চোখে আঘাত করার অভিযোগ উঠেছে ফেনী-৩ আসনে স্বতন্ত্র ঈগল প্রতীকের প্রার্থী হাজী রহিম উল্যাহর বিরুদ্ধে।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এই ঘটনার একটি ভিডিও ভাইরাল হয়।
আরও পড়ুন: বরিশালে আ.লীগ-ছাত্রলীগের হাতাহাতি, ছবি তোলায় ৩০ সাংবাদিককে অবরুদ্ধ
ঈগল মার্কার প্রার্থী হাজী রহিম উল্যাহ বলেন, প্রিজাইডিং অফিসার জাল ভোট দেওয়ার জন্য নির্দেশ দিয়েছেন। এজন্য উনার বিরুদ্ধে অনুসন্ধান কমিটির কাছে মৌখিকভাবে অভিযোগ দেওয়া হয়েছে।
প্রিজাইডিং অফিসার আমির হোসেন বলেন, এই কেন্দ্রে তিন হাজার ৬৫৮ মহিলা-পুরুষ ভোটার রয়েছে। ভোট গ্রহণের নারী-পুরুষের জন্য আটটি বুথ রাখা হয়েছে। সকাল থেকে ভোটাররা এসে ভোট দিচ্ছিলেন, হঠাৎ করে ঈগল মার্কার প্রার্থী হাজী রহিম উল্যাহ সাত থেকে আটজন যুবকসহ অতর্কিতভাবে ভোটকেন্দ্রে প্রবেশ করে আমাকে ভোটকেন্দ্র থেকে বের করে জিজ্ঞেস করলেন, জাল ভোট কেন দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন?
আরও পড়ুন: এসসিবিএ ইফতার পার্টিতে হাতাহাতির ঘটনায় বিএনপিপন্থী ২৪ আইনজীবীর বিরুদ্ধে মামলা
এমন কথা বলে তিনি রিটার্নিং কর্মকর্তাকে মোবাইল ফোন করে আমার বিরুদ্ধে মৌখিক অভিযোগ দেন। আমি এমন নির্দেশ দেয়নি বলা মাত্রই ঈগল মার্কার প্রার্থী হাজী রহিম উল্যাহ আমার মুখে থাপ্পড় মেরে আমার ডান চোখে আঘাত করেন এবং কয়েকবার থাপ্পড় মারার জন্য হাত তুলেন। পরে তিনি গালাগালি করে ঘটনাস্থল ত্যাগ করে চলে যান।
ওই কমিটিতে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসককে (রাজস্ব) আহ্বায়ক, সোনাগাজী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে সদস্য সচিব ও পুলিশের সোনাগাজী সার্কেলের সহকারী পুলিশ সুপার, সোনাগাজী উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা, সোনাগাজী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে (ওসি) তদন্ত কমিটির সদস্য করা হয়েছে।
আগামী ৩ কার্যদিবসের মধ্যে উক্ত ঘটনার সরেজমিন তদন্ত পূর্বক বিস্তারিত প্রতিবেদন জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তার নিকট দাখিলের অনুরোধ করা হয়েছে।