দিনাজপুরের বড়পুকুরিয়া কয়লা খনিতে বৃহস্পতিবার দ্বিতীয় দিনের মতো শ্রমিকদের অবস্থান কর্মসূচি অব্যাহত রয়েছে।
আট মাসের বকেয়া বেতন ভাতা এবং অবিলম্বে কাজে যোগদানের দাবিতে বুধবার থেকে সপরিবারে খনির প্রবেশ পথে অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ শুরু করে শ্রমিকেরা। এই দাবিতে গত মার্চ থেকে ধারাবাহিকভাবে বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করে আসছেন তারা।
করোনাকাল থেকে দুই বছর ধরে খনির (কম্পাউন্ডে) অভ্যন্তরে বিশেষ ব্যবস্থায় আটক রেখে কয়লা তোলানোর প্রতিবাদে (খনির বাউন্ডারির ভেতরে) বিক্ষোভ করছে আরও চারশ’ শ্রমিক। বাড়ি থেকে যাতায়াত করে কাজ করার দাবি জানাচ্ছেন তারা।
বড়পুকুরিয়া কয়লাখনি শ্রমিক কর্মচারী ইউনিয়নের সভাপতি রবিউল ইসলাম রবি জানান, তিনটি চীনা ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান সিএমসি, এক্সএমসি, ও জেএক্সএমসির অধীনে আউটসোর্সিংয়ে খনিতে কয়লা তোলার কাজ করে থাকে প্রায় ১১শ’ দেশি শ্রমিক। এর মধ্যে সাতশ’ শ্রমিককে করোনালীন ছুটিতে পাঠানোর সময় মাসে সাড়ে চার হাজার করে টাকা ভাতা দেয়ার কথা ছিল। কিন্তু গত আট মাস ধরে ওই ভাতার টাকা পাচ্ছেন না তারা। ঈদের আগে ওই বকেয়া বেতন-ভাতা প্রদান এবং কাজে যোগদানের দাবিতে ধারাবাহিকভাবে আন্দোলন কর্মসূচি পালন করে আসছেন তারা।
আরও পড়ুন: বকেয়া বেতনের দাবিতে বড়পুকুরিয়া কয়লাখনির শ্রমিকদের অবস্থান কর্মসূচি
অন্যদিকে, চারশ’ শ্রমিককে করোনার সময় থেকে দুই বছর ধরে ইচ্ছার বিরুদ্ধে খনি এলাকায় আটকে রেখে কয়লা তুলতে বাধ্য করছে চীনা ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান। খনির বাইরে বের হওয়া এবং পরিবারের সঙ্গে মিলিত হওয়ার সুযোগের দাবিতে বিক্ষোভ শুরু করেছেন ওই শ্রমিকেরা।
বড়পুকুরিয়া কয়লাখনি শ্রমিক কর্মচারী ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক আবু সুফিয়ান বলেন, এক দিকে কাজ বঞ্চিত শ্রমিকেরা খনিতে প্রবেশসহ কাজে যোগদানের দাবিতে খনির প্রবেশ পথে অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ করছে। অন্যদিকে খনিতে আটকে রাখার প্রতিবাদে আটক শ্রমিকেরা নেটের বেড়ায় বন্দী অবস্থায়ই বিক্ষোভ করছে।
সংকট সমাধানে প্রশাসন ও খনি কর্তৃপক্ষ কোনো ব্যবস্থাই নিচ্ছে না বলেও জানান তিনি।
আরও পড়ুন: বকেয়া বেতনের দাবিতে বড়পুকুরিয়া কয়লাখনির শ্রমিকদের ৭২ ঘণ্টার আল্টিমেটাম