বগুড়ার নন্দীগ্রামে তিনটি হত্যা মামলার আসামি ও বালু ব্যবসায়ী আখের আলীর (৪০) গলাকাটা লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। সোমবার সকাল সাড়ে ১০ টার দিকে উপজেলার ওমরপুর এলাকার একটি ধান খেত থেকে লাশ উদ্ধার করা হয়।
নিহত আখের আলী বগুড়া সদরের সাবগ্রাম চান্দপাড়া গ্রামের মোয়াজ্জেম আলীর ছেলে। আখের আলীর নামে তার আপন বড় ভাই রাশেদ, যুবলীগ নেতা মানিক ও বালু ব্যবসায়ী সবুজ হত্যা মামলা রয়েছে। এছাড়াও তার নামে ডাকাতি, ছিনতাইসহ আরও ৭-৮ টি মামলা রয়েছে।
আরও পড়ুন:রাজশাহীতে বৃদ্ধার গলাকাটা লাশ উদ্ধার
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, সোমবার সকালে বগুড়া-নাটোর মহাসড়কের পাশে ওমরপুর এলাকায় একটি ধান খেতে স্থানীয় লোকজন গলাকাটা লাশ দেখে পুলিশে খবর দেয়। পুলিশ গিয়ে লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠিয়েছে।
জানা গেছে, আখের আলী সরাসরি রাজনীতি না করলেও সরকারি দলের নেতাদের সঙ্গে চলাফেরা করতেন। এক সময় তিনি শ্রমিক লীগ সাতমাথা আঞ্চলিক কমিটির সাধারণ সম্পাদক ছিলেন।
এলাকায় আধিপত্য বিস্তার ও বালু ব্যবসার নিয়ন্ত্রণ নিয়ে যুবলীগ নেতা মানিক ও বালু ব্যবসায়ী সবুজ হত্যাকাণ্ডে জড়িত ছিলেন আখের আলী। নিজের বড় ভাই রাশেদের স্ত্রীর সঙ্গে পরকীয়ায় জড়িয়ে ভাবীকে বিয়ে করতে ভাইকে খুন করে। পরে আখের আলীর ভয়ে তার ভাবী দেশ ছেড়ে পালিয়ে যান।
বর্তমানে তিনি লেবানলে শ্রমিকের কাজ করেন। আখের আলীর সঙ্গে রাজনৈতিক নেতাদের পাশাপাশি পুলিশ কর্মকর্তাদেরও ঘনিষ্ঠতা ছিল। পুলিশ কর্মকর্তাদের সঙ্গেও আখের আলীর একাধিক ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে পাওয়া গেছে। ছয় মাস আগে জামিনে জেলখানা থেকে বের হন আখের আলী। এরপর গত ছয় মাসে তার নামে কোন অভিযোগ এলাকায় নেই। রবিবার সন্ধ্যার পর সাবগ্রামের পাশে ফনির মোড় এলাকার বাপ্পী নামের এক বালু ব্যবসায়ীর মোটর সাইকেল চেয়ে নেন আখের আলীর। লাশ উদ্ধারের পর সেই মোটরসাইকেলটি উদ্ধার করে পুলিশ।
নন্দীগ্রাম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আনোয়ার হোসেন বলেন, ধারণা করা হচ্ছে পরিকল্পিতভাবে আখের আলীর ঘনিষ্ঠ জন কেউ ডেকে এনে গলা কেটে হত্যা করেছে। তার নামে তিনটি হত্যাসহ অসংখ্য মামলার তথ্য পাওয়া যাচ্ছে।