বরগুনার সদর উপজেলায় ভুল চিকিৎসায় ৯ মাসের এক শিশুর মৃত্যুতে বাবা-মায়ের অভিযোগের ভিত্তিতে কথিত ‘চিকিৎসক’ মাসুম বিল্লাহকে আটক করেছে পুলিশ। শুক্রবার বিকালে আদালতের মাধ্যমে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়।
আরও পড়ুন: বগুড়ায় বাউল শিল্পীকে মাথা ন্যাড়া, স্কুল শিক্ষকসহ আটক ৩
এর আগে বৃহস্পতিবার রাতে শহরের মাছ বাজার এলাকা থেকে মাসুম বিল্লাহকে আটক করা হয়। এছাড়া তিনি একাধিকবার পুলিশের হাতে আটক হয়েছেন বলে খবর পাওয়া গেছে।
সংশ্লিষ্টরা জানান, সদর উপজেলার কেওরাবুনিয়া ইউনিয়নের চালিতাতলা গ্রামের দিনমজুর সাইদুল ইসলাম তার ৯ মাস বয়সী ছেলে ইয়ামিনকে জ্বর ও সর্দি কাশির চিকিৎসার জন্য কথিত চিকিৎসক মাসুম বিল্লাহর কাছে নিয়ে যান। তিনি শিশুটিকে দেখে জরুরি ভিত্তিতে বিভিন্ন মেডিকেল টেস্ট করানোর জন্যে বলেন। পরে টেস্টের রিপোর্ট দেখে তিনি, শিশু ইয়ামিনের হার্টে সমস্যা আছে এবং এক দিন পর পর চেম্বারে এসে চারটি ইনজেকশন দিতে হবে বলেন।
আরও পড়ুন: ফরিদপুরে চোর চক্রের ৫ সদস্য আটক
গত রবিবার (১৯ সেপ্টেম্বর) বিকাল সাড়ে ৪টার দিকে ইয়ামিনের শরীরের নিজ হাতে একটি ইনজেকশন পুশ করেন মাসুম বিল্লাহ। এরপর থেকেই ইয়ামিনের শারীরিক অবস্থার অবনতি হতে থাকে। ওই দিন রাত সাড়ে ৮টার দিকে মাসুম বিল্লাহর পরামর্শ অনুযায়ী ওষুধ সেবনের পর পরই খিচুনি দিয়ে ইয়ামিন মারা যায়।
এ ঘটনায় ইয়ামিনের বাবা সাইদুল ইসলাম বরগুনা সদর থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দিলে কথিত ‘চিকিৎসক’ মাসুম বিল্লাহকে শহরের মাছ বাজার এলাকা থেকে আটক করে পুলিশ।
আরও পড়ুন: পলাশবাড়িতে বিরল প্রজাতির তক্ষকসহ আটক ৪
এ বিষয়ে বরগুনার সিভিল সার্জন ডা. মারিয়া হাসান বলেন, এর আগেও একাধিকবার তাকে ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে জরিমানা করা হয়েছে। চিকিৎসক হিসেবে কোন বৈধতাই তার নেই। বারবার জেল জরিমানার পরেও তিনি এসব করে যাচ্ছেন। বিষয়টি তিনি জেলা পুলিশকে অবিহিত করেছেন।