চট্টগ্রামের বাঁশখালীতে কয়লা-বিদ্যুৎকেন্দ্রে পুলিশের গুলিতে নিহতদের প্রত্যেক পরিবারকে ৫০ লাখ টাকা ক্ষতিপূরণ দেয়ার দাবি জানিয়েছেন গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের ট্রাস্টি ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী।
রবিবার বাঁশখালীতে নিহত ও আহতদের পরিবারকে দেখতে এসে উপস্থিত সাংবাদিকদের মাধ্যমে এ দাবি জানান তিনি।
ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী বলেন, যারা নিহত হয়েছে তাদের ক্ষতিপূরণ বাবদ ৫০ লাখ টাকা করে দিতে হবে, তাদের পরিবারের সদস্যদের চাকরি নিশ্চিত করতে হবে। এছাড়া একজন বিচারপতির নেতৃত্বে বিচার বিভাগীয় তদন্ত কমিটি গঠনের দাবি জানান তিনি।
আরও পড়ুন: বাঁশখালীতে পুলিশ-শ্রমিক সংঘর্ষ: ২ মামলায় আসামি আড়াই হাজার
এ সময় তার সঙ্গে ছিলেন ভাসানী অনুসারী পরিষদের মহাসচিব শেখ রফিকুল ইসলাম বাবলু, গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি, মুক্তিযোদ্ধা নঈম জাহাঙ্গীর, মুক্তিযোদ্ধা ইসতিয়াক আজিজ, রাষ্ট্র চিন্তার অ্যাডভোকেট হাসনাত কাইউম, গণস্বাস্থ্যের প্রেস উপদেষ্টা জাহাঙ্গীর আলম মিন্টু, ভাসানী অনুসারী পরিষদের সদস্য ব্যারিস্টার সাদিয়া আরমান ,শাহেদুল ইসলাম, মো. নাছির, মোজাফফর আহমদ, মো. হাসান মারুফ, ছৈয়দুল আলম, মো. হাশেম, ফরিদ আহমদ, সেলিম নুর, মো. নাছির, হাজি নবী হোসেন, দিদারুল ইসলাম, মো. জাবেদ, মুক্তার আহমদ প্রমুখ।
আরও পড়ুন: বাঁশখালীতে এস আলম বিদ্যুৎকেন্দ্রে পুলিশ-শ্রমিক সংঘর্ষে নিহত বেড়ে ৫
তারা প্রথমে গণ্ডামারা এসএস পাওয়ার প্ল্যান্টের ফটকের সামনে এসএস পাওয়ার প্ল্যান্টের প্রধান সমন্বয়ক ফারুক আহমেদ, বাঁশখালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ সফিউল কবিরসহ দায়িত্বশীলদের সঙ্গে কথা বলেন।
পরে তারা গণ্ডামারা, চাম্বল বাংলাবাজার ও শীলকূপ এলাকার দুই শতাধিক পরিবারের মাঝে খাদ্য সহায়তা প্রদান করেন।
আরও পড়ুন: বাঁশখালীতে শ্রমিকদের প্রাণহানি: বিচার বিভাগীয় তদন্ত চেয়ে রিট
উল্লেখ্য, গত ১৭ এপ্রিল সকালে গণ্ডামারা ইউনিয়নের পশ্চিম বড়ঘোনায় কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্রে পুলিশের সঙ্গে শ্রমিকদের সংঘর্ষে ৫ জন নিহত হন। ২১ এপ্রিল চিকিৎসাধীন অবস্থায় মো: শিমুল (২৩) নামে এক শ্রমিকের মৃত্যু হয়। ওই ঘটনায় আহত হন প্রায় ৩০ জন।
এ ঘটনায় জেলা প্রশাসন ও পুলিশের পক্ষ থেকে আলাদা দু’টি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে এবং দু’টি মামলা দায়ের হয়েছে।